• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

মশা মারতে গিয়ে তো আর মানুষ মারতে পারি না: তাজুল

সংবাদদাতা / ৭৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন  ডেস্ক:

পৃথিবীতে যত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি বাতাসেই ওষুধ দিই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। আমরা সেটি করতে পারি না। আগামী ১৮ সেপেম্বর জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস। দিনটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সেখানেই এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেন মন্ত্রী। ‘ওষুধের কার্যক্রম ও মশক নিধন ঠিকমতো হচ্ছে না’ বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কিনা আমি জানি না। কারণ, চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবেন।

২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি। কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ বছর মাত্রারিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহরে এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো- সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদের অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না।

আমাদের দেশে মশা নিধনে সারা বছর কার্যক্রম চলে। তবে এখন চলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ। বর্ষকালের পরে তো এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারেন মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীতে যত কার্যকরী ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। সেগুলোর বাইরে আমাদের কাছে জানা নেই। যেমন- বিটিআই নেই দেশে। বিটিআইটা রিকভার করেছে…। আমি তো এমন কোনো কীটনাশক স্প্রে করতে পারবো না, যেটাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মেরে ফেলবো। আমি যদি বাতাসের মধ্যে মেরে দিই, সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষেরও ক্ষতি হবে। এটা কি আমি করতে পারবো? হয়ত এমন স্প্রে করে দিতে পারবো যে সারা বছর আর মশা-মাছি আসবে না, কিন্তু মানুষও মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধ অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, এজন্য সরলভাবে কথাটা বলি- আমাদের সব মানুষকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আপনার বাড়িতে, আমার বাড়িতে যদি মশা না পাওয়া যায়, তাহলে কি দেশে মশা থাকবে। আমার বাড়ি তো আমি পরিষ্কার রাখতেই পারি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...