মোঃ সুজন বেপারীঃ – মুন্সীগঞ্জে আঞ্চলিক জেলা পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকদের চাপের মুখে কর্মকর্তারা ২২ই সেপ্টেম্বর রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তথ্যসূত্রে জানাগেছে পার্শ্ববর্তী জেলা ইতিপূর্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হঠাৎ নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট কয়েকটি অফিসে অগ্নিসংযোগ ভাংচুরের ঘটনায় দিশেহারা কয়েক হাজার পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।
নারায়ণগঞ্জ গ্রাহকদের মুন্সীগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে যাদের পাসপোর্ট তৈরি হয়েছিল কিন্তু বিতরণ করা হয়নি তারা আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন পার্শ্ববর্তী জেলা গ্রাহকদের উদ্দেশ্য বলা হয়। ভবন মেরামত করে নারায়ণগঞ্জ অফিস আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে অন্তত ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক, মোহাম্মদ কামাল হোসেন খন্দকার বলেন, গ্রাহকদের চাপের মুখে জন গুরুত্বপূর্ন এই অফিস টিকে জনবান্ধব করতে আমি সব সময় চেস্টা করে আসছি।এটি এমন এক অফিস সেখানে প্রতিদিন সমাজের নিচু থেকে উচু সকল শ্রেণির মানুষকে আমাদের সেবা দিতে হয়।
তাই কেউ একটি বিষয়ে সহজে বুঝতে পারেন আবার অনেককেই একটি বিষয় বার বার সহজ করে বুঝিয়ে দিতে হয় এটাই তো এই অফিসের দায়িত্বরত সকলের প্রধান দায়িত্ব। বিরক্ত হয়ে কাউকে কটু কথার মাধ্যমে কষ্ট দিলে পরে তা আমার বুকের মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা দেয় তাই আমি সাধ্যমতো চেস্টা করি আমার কাছে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা শত শত সেবাগ্রহিতাদের একটু ভালোবাসার মাধ্যমে সেবা দিতে।
এছাড়া আমি আমার কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই পুরো অফিসটি পর্যবেক্ষন করার চেস্টা করি। কোথাও কোন ভিড় চোখে পড়লে আমি নিজে সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেস্টা করি। এছাড়াও আমি প্রতিদিন কোন এক সময় পুরো অফিসের সকল কিছু সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষন করি।
তিনি আরো বলেন, গত ৩১ মে ২০২৩ কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই অফিসটিকে দালাল মুক্ত করে ভোগান্তি আর হয়রানী বিহীন সেবা প্রদানের এক আদর্শ জায়গা হিসেবে তৈরিতে কাজ করে আসছেন। তবে অনেক মানুষই ভয়ে অফিসে না এসে অন্য মানুষদের প্ররোচনায় পড়ে বেশি টাকা খরচ করেন। তাই আমি জেলাবাসীর কাছে একটি বার্তা পৌছে দিতে চাই যে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে যে কোন মানুষ সরাসরি আমার কক্ষে চলে আসবেন।
কাউকে তেল মাখাতে হবে না, কাউকে ধরতে হবে না কাউ’কে একটি টাকা কিংবা এককাপ চা-ও খাওয়াতে হবে না। সরকারি অফিসে যে কোন মানুষ এসে ভোগান্তি, হয়রানী ও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেবা পেতে পারেন সেই ধারা এবং ধারনাটি আমি এই পাসপোর্ট অফিসে প্রতিষ্ঠা করে যেতে চাই। তবে দিন দিন পাসপোর্টের চাহিদা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই ক্ষেত্রে জনবল সংকট পূরণ করা গেলে এই সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।