• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পুলিশের গাড়িতে আগুন ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষণকারী দুই ভাই এখনও অধরা যমুনা রেলসেতুর সবগুলো স্প্যান বসান সম্পন্ন, উদ্বোধন ডিসেম্বরে কেরানীগঞ্জে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ চুরি ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাহিম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের তালিকা হয়ে গেছেঃ ড. ইউনূস বেপরোয়া’নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে এবার আইনি পথে হাঁটছে বিএনপি দক্ষিণ সুরমার অপরাধ সম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া বিএনপি নেতা কুহিনুর পাচারের টাকায় সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী বিএনপি পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন: এস এম জাহাঙ্গীর

রংপুরে ইউপি-চেয়ারম্যান হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

Reporter Name / ১৩৭ Time View
Update : রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

মাটি মামুন (রংপুর): রংপুরের মিঠাপুকুরে ইউপি- চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান (মাহাব) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ সময় চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে হত্যাকারী হারুন এবং তার মদদদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

অন্যদিকে ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় প্রশাসনের উপর ক্ষোপ প্রকাশ করেন তার পরিবার এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা।

শনিবার (১৭- ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার সময় মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রা বন্দ বাজার সংলগ্ন ভাংনী মাঠেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু-পাশে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতশত লোক দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ০৪ -নং ভাংনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি- চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া,০৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাষ্টার, বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান, ওলামা মা- শায়েখের পক্ষ থেকে হাফেজ মোঃ আব্দুস সামাদ এবং চেয়ারম্যানের বড় ছেলে লাবিব হাসান।

পায়রাবন্দ বাজার কমিটির সভাপতি, মিজানুর রহমান বলেন, মাহবুবার রহমান একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এমন একটা মানুষ ছিলেন, যার জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা ছিলো সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের কাছে।

বিশেষ একটি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করে তাঁর নেতৃত্ব শূন্য করে পায়রাবন্দ বাসীকে এতিম করেছেন। হাফেজ আব্দুস ছামাদ বলেন, ঘটনার পরেই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পায়রাবন্দ তথা মিঠাপুকুর উপজেলাবাসী জানতে পারলোনা কারা এর সঙ্গে জড়িত!

চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক। আমরা দেখেছি,সাধারণ মানুষকে হত্যা করলে পুলিশ দ্রুতগতিতে অপরাধীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু প্রকাশ্য ভরা বাজারের ভিতর একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে হত্যা করলো পুলিশ তাঁর ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং প্রকৃত অপরাধীকে পুলিশ আড়ালে রেখেছে। আমরা জনপ্রতিনিধীরা এখন নিরাপত্তাহৃীনতায় ভুগছি। চেয়ারম্যান হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারলে তা হবে অন্যায়।

নিহত মাহবুবার রহমানের বড় ছেলে লাবিব হাসান বলেন, আমার বাবা ভালো মানুষ ছিলেন।

তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে অন্যায় দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার এই সমস্ত ভালো কাজে একটি পক্ষ তাঁকে হত্যায় মরিয়া ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি রইলো, আমার বাবায় হত্যায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।

উল্লেখ্য যে, গত- ৫ নভেম্বর, রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় পায়রাবন্দ বাজারে তাঁর ঔষধ ফার্মসি বন্ধ করে ফেরার পথে হারুন নামে এক মাদকাসক্ত মাছ কাটার বটি দিয়ে কুপিয়ে মাহবুবার রহমানকে হত্যা করেন। উত্তেজিত জনতা ঘাতক হারুনকে আটক করে পুলিশে দিলেও কি কারনে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আর কারা জড়িত সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে ঘাতক হারুনের ভাই হাকিম পলাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category