• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল, প্রশাসন নীরব

সংবাদদাতা / ১৫৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় হরহামেশাই চলে সরকারি সম্পত্তি জবরদখলের উৎসব। এসব সম্পত্তির মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি, সড়ক ও জনপদের সম্পত্তি, জেলা পরিষদের সম্পত্তি সহ সরকারি খাসজমি উল্লেখযোগ্য। এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলে এই দখলের মহোৎসব। এসব ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় প্রশাসন সহ সর্বক্ষেত্রে ম্যানেজ করে রাতারাতি গড়ে তোলা হয় দালান ঘর।

শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌর শহরের সিটি প্লাজার পশ্চিম পাশের বাপাউবো অধিগ্রহণকৃত বরোপিট খালের উপর অবৈধভাবে পাকা দোকান নির্মাণ কাজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত সোমবার (২৮ আগস্ট) থেকে বাপাউবো অধিগ্রহণকৃত ঐ খাল পাড়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এমরান হোসেন বাচ্চু প্রকাশ ইট বাচ্চু দিনরাত আরসিসি পিলার ঢালাই করে নির্মাণ করছেন পাকা দোকান ঘর।

বাপাউবো লক্ষ্মীপুর এর পওর শাখা-২ (রামগঞ্জ) এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাকিল মাহমুদ বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ ও বরোপিট খাল এবং রিং ডাইক নির্মাণ/খননের জন্য বাপাউবো (লক্ষ্মীপুর) কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। আমরা গত ২৮ আগস্ট সাইট পরিদর্শন কালে দেখতে পাই রামগঞ্জ পৌরসভার মধ্য আঙ্গারপাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে এমরান হোসেন বাচ্চু বরোপিট খালের উপর অবৈধভাবে পাকা দোকান নির্মাণ করিতেছেন। আমি তাকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করার জন্য বলি। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করছেননা।

এভাবে অবৈধ ভাবে বেড়ীবাঁধের উপর নির্মাণ কাজ চলমান থাকলে বিপর্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি সহ বেড়ীবাঁধ হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়বে। তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষাকল্পে উক্ত অবৈধ নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একখানা লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন এবং উক্ত অভিযোগের অনুলিপি কপি রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরও পেশ করেছেন।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করার পর আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ দুই সপ্তাহ অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনও থানা থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অথচ থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র ৫/৬’শ গজ। প্রতিদিনই ওসি সাহেবের সাক্ষাতের জন্য আমাদের অফিসারকে পাঠালেও তার দেখা পাওয়া যায়নি, এমনকি আমাদের অভিযোগের বিষয়েও কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত তিনি গ্রহন করেননি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বাচ্চু বলেন, আমি ২০১৪ইং সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁদপুর অফিস থেকে লীজ এনেছি। লীজের সম্পত্তিতে পাকা ইমারত নির্মাণ করার বিধান আছি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নীচে থেকে আরসিসি পিলার উঠিয়ে দোকান নির্মাণের পর ছাদ ঢালাই না দিয়ে উপরে টিনের চাল দিবো। তখন আর এটাকে পাকা দোকান বলা যাবেনা। তিনি আরো বলেন, আরসিসি ঢালাই দিয়ে দোকান নির্মাণ করলে কি হবে প্রশাসন বললে দোকান ভেঙ্গে দিব।

এবিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: এমদাদুল হক এর অফিসে একাধিকবার গিয়েও তার দেখা না পেয়ে তার সরকারি মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি অসুস্থ্যতার কথা বলে সুস্থ্য হলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এবিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শারমিন ইসলামের সরকারি মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...