মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জমি দখল ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা আলাদ মৃধার বিরুদ্ধে।পূর্বশত্রুতার জেরে মোতালেব তালুকদারের ছেলে রাহিমের স্ত্রীকে ৮/১০ জনের একটি গুন্ডা বাহিনী দিয়ে গণ ধর্ষণ করানো হয়। ঘটনাটি গত ৯ জুন ২০২২ইং (সোমবার) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের করার-বাগ গ্রামে ঘটে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানাধীন মধ্যপাড়ার করারবাগ গ্রামের মোতালেব তালুকদারের ছেলে ভুক্তভোগী মোঃ রাহিম তালুকদার, সাংবাদিকদের জানান, সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন কিনা আমার ফসলি জমিতে চাষাবাদ এবং আমাদের পুকুরে মাছ চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে যায় তারা।এলাকার চেয়ারম্যান যিনি সম্পর্কে আমার বেয়াই সন্ত্রাসী আলাদ মৃধা সম্পর্কে বোন জামাই তারা আমাকে জানান যে এই সব জায়গা জমির উপর নাকি আমার কোন অধিকার নেই। যখন আমার বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন নাকি সে ভিটা-বাড়ি ও আমার মায়ের নামে যতটুকু জমি রয়েছে তা বাদ দিয়ে বাকী সব স্থাবর, অস্থাবর জায়গা জমি ও টাকা নাকি আমার বোন জামাইকে লিখে দিয়েছে আমার বাবা। তবে এই মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন । ঐ ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে আমি জানতে পারি আমার বাবা হার্ট অ্যাটাক করে যখন আমার বাবা নিস্তেজ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন পুরো নাটকীয় কায়দায় চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী আলাদ মৃধা মিলে অবৈধ ও বেআইনি ভাবে একটি দলিল বানিয়ে সেখানে আমার বাবার আঙুলের ছাপ নেয়। আর এই বিষয় টি আমার ছোট বোন দেখে ফেলে এবং আমাকে জানায়।
ভোক্তভোগী রাহিম তালুকদার আরো জানান, আমার স্ত্রী কে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয় এবং মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনকে গুন্ডা বাহিনীর সদস্যরা মিথ্যা মনভুলানো কথা বলে আমার ওপরে ক্ষিপ্ত করিয়ে তোলেন। ফলে তারা (শ্বশুর বাড়ির লোকজন)আমার ছেলেকে তাদের হেফাযতে নিয়ে আমার নামে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করতে দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লৌহজং থানার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের করারবাগ মৌজাস্থিত আরএস ৩৯৮, ৩৫১ নং খতিয়ানের আরএস ৫১৮১,৫১৮২,৫১৮৩ নং দাগের নাল জমির ৪৩.৬০ শতাংশ জমি মোতালেব তালুকদারের ছেলে মোঃ রাহিম তালুকদার ও একই গ্রামের আওলাদ হোসেন মৃধার (৪৫) বিরোধ চলে আসছে। এই জমি হলো রাহিমের কাল। জমির জন্য প্রাণনাশের হুমকি সুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগী রাহিম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গণমাধ্যমের মাধ্যমে দাবী জানান অচিরেই যেন আইনের আওতায় এনে তদন্তের মধ্যেমে সঠিক বিচার কার্যকর করা হয়।