শাল্লা প্রতিনিধি : শাল্লায় সম্প্রতি বদলি হওয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিডিসি ক্রাইম বার্তা অনলাইন নিউজ পোর্টালেও ‘শাল্লায় সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই সংবাদে উপজেলার বাহাড়া ইউপির সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা দলিল লেখক গাফফার মিয়ার একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর গাফফার মিয়া তার নিজ ফেসবুক আইডিতে বিডিসি ক্রাইম বার্তার সংবাদটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন ‘আমার জানামতে সার্ভেয়ার সাহেবের যাওয়ার ব্যাপারে কোন সাংবাদিক কিংবা কোন পাবলিককে এ বিষয়ে কিছু বলিনি। কিন্তু পত্রিকায় লেখা হয়েছে আমি নাকি সার্ভেয়ার সাহেবকে চোর বলে গালি দিয়েছি। যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। সাংবাদিকরা এসব ভুয়া তথ্য কোথায় পায়? পত্রিকায় এসব ভুয়া তথ্য দিয়ে সাংবাদিক পেশার অমর্যাদা থেকে বিরত থাকুন।
দলিল লেখক গাফফার মিয়ার এমন মিথ্যাচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে ২১/০৮/২০২২ইং তারিখে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিডিসি ক্রাইম বার্তার প্রতিনিধি প্রীতম দাস। এবিষয়ে প্রীতম দাস বলেন দলিল লেখক গাফফার মিয়া যখন সাংবাদিকরা সার্ভেয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন শেষ করার পূর্বেই সার্ভেয়ার আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে তিনি চোর, খারাপ মানুষ ও পাবলিককে মাইরা গেছে এমন বক্তব্য দেন।
সেসময় ওই চায়ের দোকানে উপজেলায় কর্মরত ৫ জন সংবাদকর্মী ও চা বিক্রেতা মোহন দাস উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি তার ওই বক্তব্য রেকর্ডও করা হয়েছে। তিনি এই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদটি বিতর্কিত করার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এমন অপপ্রচার করেছেন। যা সাংবাদিকদের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি একারণেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন আমি সুনামগঞ্জ যাচ্ছি। শাল্লায় এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।,#