• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

সংসদে তিন বিল পাস সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা গেলো কোথায়, প্রশ্ন বিরোধী এমপিদের

সংবাদদাতা / ১৬৫ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

নিজস্ব  প্রতিবেদক: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, কাস্টমস বিল-২০২৩ এবং জেলা (পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাসমূহে বলবৎকরণ) বিল সংসদে পাস হয়েছে। এছাড়া ‘কাস্টমস বিল-২০২৩’ পাসের সময় প্রবল বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলগুলোর এমপিরা। একই সঙ্গে কাস্টমস লকার থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা গেলো কোথায়- এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিল তিনটি পাস হয়। এর আগে বিলগুলোর ওপর বিরোধীদের জনমত যাচাই, আরও পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ফেরৎ পাঠানো এবং সংশোধনীগুলো স্পিকার ভোটে নিষ্পত্তি করেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে ‘কাস্টমস বিল-২০২৩’ বিল উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিলটি পাসের সময় প্রবল বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী এমপিরা। বিলটির ওপর বক্তব্যে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, কাস্টমস এখন একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। গত আগস্ট মাসে কাস্টমসের লকার থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি সোনা লোপাট হয়। পরে তারা এক-দেড়শ ভরি সোনা কিনে চুরি করে ঢোকায়। এসব সোনা গেলো কোথায়, কারা চুরি করলো?

তিনি বলেন, এসব পত্র-পত্রিকায় এসেছে। অথচ কারও কোনো শাস্তি বা বিচারই হলো না। তাছাড়া বিভিন্ন কাস্টমস হাউজে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা ওভারলোডিং, আন্ডারলোডিং করছে, দেশের অর্থ বিদেশে পাঠাতে সহায়তা করছে। সরকার কোনো প্রতিকার করছে না। বিচার করে না, সব দলীয়করণ হয়ে যাচ্ছে, কার বিচার কে করবে?

বিরোধীরা বলেন, এনবিআর রাজস্ব আহরণের মূল স্থান। সেখানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। রাজস্ব আয়ের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচ বেশি দেখানো হচ্ছে। কারও কোনো বিচার হয় না। অর্থের বিনিময়ে সব মিটমাট হয়ে যাচ্ছে, কাস্টমসের কর্মীরা অবৈধভাবে ধনী হচ্ছে। বিরোধীরা সবক্ষেত্রে অটোমেশনের দাবি জানান। পরে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। যা স্থিরিকৃত আকারে সংসদে পাস হয়।

অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিলটি উত্থাপণ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিলটি পাসের বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও রওশন আরা মান্নান। তাদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...