আলী হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের বর্বরচিত হামলায় নিহত ও আহতদের স্মরণে এবং সাদপন্থীদের কর্মকান্ড নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের চত্ত্বরে ওলামা মাশায়েখ, তাবলিগী সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন মুসল্লীরা।
এ সময় আজাইপুর জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আরামবাগ নূরানী একাডেমির পরিচালক মুফতি আলী আশরাফুল হক, বারোঘরিয়া মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা ইসাহাক, হযরত হাফেজ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বর বুধবার গভীর রাত ৩টায় টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্তাবস্থায় তাবলীগ নামধারী বিপথগামী পথভ্রষ্ট উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে শুরায়ী নেজামের ৪ জন সাথী’কে হত্যা করে। এছাড়া ওই হামলায় শুয়ারী নেজামের অসংখ্য শান্তি প্রিয় তাবলীগ সাথী, সাধারণ মুসল্লী, উলামা ও ত্বোলাবাগণ নৃশংস হামলার শিকার হন।
এতে তারা আহতাবস্থায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর তাই এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সহ সাদপন্থীদের সকল কর্মকান্ড নিষিদ্ধের দাবী জানিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের’কে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবী জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, তাবলীগ নামধারী বিপথগামী পথভ্রষ্ট উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুসারীরা নৃশংস হত্যাকান্ডের আগের দিন ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে পৌর এলাকার আলীনগর জেলা মারকাজ মসজিদ থেকে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলায় অংশগ্রহণ করে। যা ন্যাক্কার জনক। আর তাই সাদপন্থীদের সকল কর্মকান্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষিদ্ধের দাবী জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
আর তা না হলে ওলামা মাশায়েখের ডাকে আবারো কঠোর আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে ৪ টি দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদাণ করেন ওলামা মাশায়েখ, তাবলিগী সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা। পরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিহত ও আহতদেও আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।