আনিছুর রহমান রুবেলঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের বয়রাগাদি ইউনিয়নের গোবরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।বয়রাগাদি ইউনিয়নের মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে আব্দুল সাত্তার, সে গোবরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির কাজে নিয়োজিত আছে।
আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধে এর আগেও শিশুদের যৌন হয়রানির একাদিক অভিযোগ আছে, তখন স্কুল কমিটি ও শিশুদের অভিভাবকের যৌথ ভাবে সিদ্ধান্তে তাকে সাধারণ ক্ষমা করে, কিন্তুু তার পরেও থামেনি সাত্তারের এই নোংরামি যত দিন যাচ্ছে বেড়েই চলছে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী একাধিক কোমলমতি শিশুদের সাথে কথা বললে তারা কান্না করে বলে, আমরা বয়ে স্কুলে যেতে পারিনা সাত্তার মামা আমাদের মারে আামাদের গায়ে হাত দেয় আমাদের কি জোর করে শিশু রুমে নিয়ে যায়, আমাদের দিয়ে স্কিলের দরজা জানালা লাগানোর কথা বলে রুমে দরে রাখে কারাপ কথা বলে।
গোবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেনএবং বলেন ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চাদের যদি এই ধরনের যৌন হয়রানি করা হয়, তারা এখনো ছোট তারা কি বুঝে ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না তাই স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত অতি দ্রুত এই চরিত্রহীন লম্পট স্কুল দপ্তরিকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা। তা না হলে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে পড়তে পারবে না। আমরা অতি দ্রুত এর সঠিক বিচার চাই এবং এই চরিত্রহীন স্কুল দপ্তরি যেন এই স্কুলে থাকতে না পারে সেই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহাগ মৃধা বলেন এর আগেও একাধিক বার আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, তবে এই বার তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সহ আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব, সে যেন এই স্কুলে আর কাজ করতে না পারে সেই ব্যাপারে আমরা শিক্ষা অফিসার কে জানাবো, কারণ এই ভাবে কোমলমতি বাচ্চাদের পড়ালেখা নষ্ট হবে এবং আমাদের স্কুলের বদনাম হবে এটা আমরা চাই না,স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহাগ মৃধার বক্তব্যেবেলার সাথে একমত পোষণ করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বেলায়েত হোসেন বলোন এই বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি আপনি যেহেতু বলছেন আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।