মোহাম্মদ মোস্তফা, (সিরাজদিখান) থেকেঃ মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে ৮ বছরের কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থায়ী ভাবে আপোষ মীমাংসার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নের চর নিমতলা উত্তর পাড়া গ্রাম। এই ঘটনায় লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীর মা সেই অভিযোগ আমার চাপা দিতে তড়িঘড়ি করে আপোষ মীমাংসায় বাধ্য করা হয় শিশুটির মাকে।
জানাগেছে গত ৩১ মে ২০২৩ইং তারিখে বুধবার সিরাজদিখান উপজেলার চর নিমতলা উত্তর পাড়া নিমতলা নূরানী কিন্ডারগার্ডেন ও মহিলা মাদ্রাসায় নিয়মিত ক্লাস করার উদ্দেশ্যে সকাল ৯ টার দিকে মাদ্রাসা যায় শিশুটি। পরে সেখানে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহ-আলম মোল্লা শিশু ছাত্রী স্নেহা (৮) এর উপর যৌন নির্যাতন চালান। পরে শিশুটি তার বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার মাকে ঘটনা বিবরণ জানান।
এই বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বার ঘুরে বিচার না পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কে নিয়ে বাদীকে ভয় দেখিয়ে আপোস মীমাংসা করে ফেলেন। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চলকর সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান এমন ন্যাক্কার জনক জঘন্য ঘটনার বিচার না হয়ে কি ভাবে তারা ঘরে বসে ধামাচাপা দিতে পারে এটা আমাদের বোধগম্ভ হচ্ছে না আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, মাদ্রাসা থেকে ফিরে মেয়েটি কান্না করছিলো তখন শিশুটির মা কান্নার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি জানায় আম্মু তুমি কাউকে বলবেনা তখন শিশুটির মা কাউকে না বলার বিষয়টি জানালে কন্যা শিশুটি বলে মাদরাসা প্রধান শিক্ষক শাহআলম মোল্লা শিশুটির জোর করে পেন্টের ভিতর হাত দিয়ে গোপন অঙ্গ টিবি দেয়।
মেয়ের মুখে যৌন নির্যাতনের কথা শুনে বিষয়টি তাৎক্ষণিক বাড়ীর আসে পাশের মহিলাদের দেখাইয়া রাখেন। নির্যাতিত শিশুটির চাচা জানান, পার্শ্ববর্তী বালুচর ইউনিয়নের মনা সরকার, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে স্থানীয় আনসার আহম্মেদ ও আব্দুল লতিফের ছেলে সালাউদ্দিন মাদবর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করা মাধ্যমে বিষয়টি নিষপত্তি করেছেন।
তবে এমন ঘটনার স্থানীয় ভাবে আপোষ মীমাংসা করতে পারে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহআলম মোল্লা বলেন বিষয়টি আমাদের উভয়ের মাঝে আপোষ মিমাংসা হয়েছে আপনারা এবিষয়ে কোনও নিউজ কইরেন না।
এবিষয়ে লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ মোঃ ফজলুল হক জানান নির্যাতিত শিশুর মা সহ ১০/১২ জন লোক আমার কাছে এসে লিখিত অভিযোগ করেছে যে শিশুটি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষনের চেষ্টা করেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শাহআলম মোল্লা। বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিজ্ঞ আদালতের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।