• বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

সীমান্তের পেশাদার ছিনতাইকারি স্টেপ নাজমুল’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ / ৪২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

বিশেষ প্রতিবেদকঃ সীমান্তের পেশাদার ছিনতাইকারি স্টেপ নাজমুল’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও। নাজমুল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকের ঘাট সীমান্তগ্রাম বড়ছড়ার আবুল কাসেমের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধায় ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকের ঘাট কোম্পানী হেডকোয়াটার্সের বিজিবি টহল দলের হেফাজত থেকে গণপিটুনির শিকার নাজমুলকে পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার জানান, নাজমুলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সে সীমান্তের এপার ওপারে আত্বগোপনে থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত এলাকায় আসা পর্যটকগণের নগদ টাকা, মোবইল ফোন সেট, নারী পর্যটকগণের গলার ছেইন, নারীদের যৌণ হয়রানী করা সহ নানা অপরধে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাহিরপুরের টেকেরঘাট, বড়ছড়ার একাধিক বাসিন্দা, ব্যবসায়ী পর্যটকগণ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজমুল ও তার সহযোগিরা বরাবরের মত এক নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের ছেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এমন খবর জানাজানির পর ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থী , সাধারন জনতাসহ প্রায় সহস্রাধিক লোকজন সংগঠিত হয়ে টেকেরঘাটের বড়ছড়া সীমান্ত এলাকায় নাজমুলকে আটক করে গণপিটুনি দেন। ওই সময় ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকের ঘাট কোম্পানী হেডকোয়াটার্সের বিজিবি টহল দলের সদস্যরা নাজমুলকে গণরোষ থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। এরপর থানায় খবর দিলে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের টু আইসি এএসআই কামাল হোসেন সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিজিবির হেফাজত থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে, গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে নাজমুল ইয়াবা আসক্ত একটি চক্র গড়ে তোলে টেকেরঘাট শহীদ সিরাজ লেক, লাকমা ছড়ায় ভ্রমণে আসা পর্যটকগণের কয়েক শতাধিক মোবাইল ফোন সেট, নগদ টাকা, নারী পর্যটক গণের গলার ছেইন, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও কোন কোন সময় নারীদের যৌন হয়রানী করে আসছিলো। এসব অপরাধ কান্ডে বাঁধা দিতে গেলে নাজমুল ধারালো ছুরি, বুজাং দিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ’কে আঘাত করে রক্তার্থ জখম করে। এরপর থেকেই তার নাম হয় সীমান্তের ষ্টেপ নাজমুল। বিভিন্ন সময় তিনটি মামলা হলেও নাজমুল ও তার সঙ্গীরা ছিল ধরাছোয়ার বাহিরে। সীমান্ত লাগায়ে বসতবাড়ি হওয়ার সুবাধে অপরাধ কান্ড ঘটিয়ে কিংবা পুলিশের তাড়া খেয়ে সহজেই চলে যেত বাড়ির পার্শবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বড়ছড়ার পাহাড়ি বস্থিতে।

উপজেলার টেকেরঘাটের বাসিন্দা আহমদ শামসুল জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারন মানুষ জন, দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকগণ ছাড়াও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতীয়রাও নাজমুল ও তার বাহিনীর নিকট নিরাপদ ছিলনা। জিরো লাইন বরাবর ভারতীয় নাগরিকদেরকেও পড়তে হত নাজমুল বাহিনীর হাতে ছিনতাই’র কবলে ও নাজেহাল হওয়ার ফাঁদে।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় ২৮-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানী হেডকোয়াটার্সের বিজিবি’র কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আতিয়ারের নিকট বিজিবি টহল দলের হেফাজতে থাকা নাজমুলের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, না এমন ধরণের কোন ঘটনাই আমি শুনিনি বা দেখিনি। এরপর ঘটনাস্তলে তার ও বিজিবি টহল দলের অবস্থান ছিল নিশ্চিত করা হলে তিনি পরবর্তীতে বলেন, পুলিশ নাজমুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, নাজমুলের বিরুদ্ধে আদালতে থেকে পৃথক তিনটি মমলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, তাকে শুক্রবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...