সানজিম মিয়া, রংপুর প্রতিনিধিঃ- গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের কুমারপাড়া ইসলামের গ্রোয়িং এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিয়েছে নতুন মোড়।ইউএনও এবং ওসির সামনে ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিলেন নলীতা রাণী। জামিয়ার রহমানের সাথে চলতি মামলার জেরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবী করেন নলীতা রাণী। তিনি প্রকাশ্যে শতাধিক মানুষের সামনে বর্তমানে জেল হাজতে থাকা জামিয়ার রহমানের মামা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলেন।নলীতা জানায়,অগ্নিকাণ্ডের সময় মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনিই অগ্নিসংযোগ করেন।
নলীতা রাণীর অভিযোগের বিপরীতে মোহাম্মদ আলী ইউএনও – ওসি এবং সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার সময় তিনি নিজ বাড়িতেই ছিলেন।তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। শতাধিক মানুষের সামনে দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেনকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলপূর্বক প্রকৃত চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করেন গঙ্গাচড়া ইউএনও।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ৩টি করে কম্বল ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন গঙ্গাচড়া ইউএনও এরশাদ উদ্দিন পিএএ।মিনিস্ট্রি থেকে বৃহত্তর সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দেন তিনি।এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী এবং বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য।
উল্লেখ্য,আগুনে জামিয়ার রহমানের ২টি ঘর আসবাবপত্র সহ, বিমল রায়ের ২টি ঘর এবং নলিতা রাণীর ১টি রান্নাঘর এবং জামিয়ার রহমানের ৬টি ছাগল পুড়ে গেছে। আগুনের তান্ডবে ৪টি পরিবারের আনুমানিক ৯ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমীকভাবে ধারণা করা হয়েছে।#