পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন, এর আলোকে আমরা কাজ করছি। যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছেন। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা আমরা নজরে রাখছি বুধবার (৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশে নানা অপরাধের বিষয়ে আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সকলে মিলে দেশে ভালো কাজগুলো করছি। যেখানে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হোক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে আমরা অপরাধীদের তালিকা করি। অপরাধের প্রমাণ পেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যতযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আইজিপি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনার পর ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি এবং সিআইডির টিম পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় সকল ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পড়ছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।
টেকনাফে অপহরণের ঘটনায় পুলিশপ্রধান বলেন, এই ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এসব ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আমাদের জানান। এ সময় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএনের তিন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।