গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই বিদায় আমাদের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। তিনি শুধু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, শুধু ডাক্তারও ছিলেন না; তিনি আমাদের ইতিবাচক পরিবর্তনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন।
মন্ত্রী বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা জানাই। ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি ওনাকে চিনি। তার পরিবারে আমি গিয়েছি। তার পিতামাতার সঙ্গে আমি খেয়েছি। ভাই-বোনের সাথে কথা বলেছি। এ এক অসাধারণ পরিবার। অসাধারণের মধ্যে অসাধারণ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি আমাদের ঋণ অপরিসীম। তার ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না। তার প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত। বাংলাদেশে আরেকটি জাফরুল্লাহ তৈরি হবে না।
গণ-সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জাফরুল্লাহর অনুপস্থিতি বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে। কিন্তু তার কাজ ও বহুমাত্রিক কীর্তি আমাদের ও অনাগত প্রজন্মকে বহুকাল ধরে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, মানুষের স্বার্থে একটি পরিবর্তন কীভাবে আনা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতেন জাফরুল্লাহ। তিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণ, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নিয়ে ভাবতেন। এসব পরিবর্তনের বিষয়ে যারাই ভাববেন নিশ্চিতভাবে সেখানেই ডা. জাফরুল্লাহ প্রাসঙ্গিক থাকবেন। আমরা যত দ্রুত তার জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারবো তত দ্রুত আমরা এগিয়ে যেতে পারব।