নিউজ ডেস্ক: র্যাবের দুই দিন ব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১৩৬টি অবৈধ মোবাইল ফোন জব্দ, নয় লক্ষ সত্তর হাজার টাকা জরিমানা এবং একটি নিয়মিত মামলা দায়ের। গত ২৭ ও ২৮ শে জুলাই হোয়াইক্যং র্যাব ক্যাম্প, র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি আভিযানিক দল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ডিরেক্টর জনাব এম. এ তালেব হোসেন, এনফোর্সমেন্ট এন্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট ও তার টিম এবং জনাব মোঃ তাজ উদ্দিন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), উখিয়া, কক্সবাজারসহ উখিয়া থানাধীন কুতুপালং বাজার, উখিয়া বাজার এবং কোর্টবাজার এলাকায় দুই দিন ব্যাপি অবৈধ মোবাইল সেট, অবৈধ সিম এবং অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী (আইএসপি) দের বিরুদ্ধে বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযানে কুতুপালং বাজার এলাকায় ১০(দশ) জন অবৈধ মোবাইল ব্যবসায়িকে মোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১১০টি অবৈধ মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮/০৭/২০২২ তারিখে উখিয়া এবং কোর্টবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে উখিয়ার অবৈধ মোবাইল সেট, অবৈধ সিম এবং অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী (আইএসপি) ব্যবসায়ীদের মোট ৫,৭০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা জরিমানা এবং ২৬টি অবৈধ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ উখিয়ার অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারী (আইএসপি) ০২ টি প্রতিষ্ঠান মিম অনলাইন এবং স্টার নেট কমিউনিকেশনদ্বয়কে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও উখিয়া থানাধীন কোর্টবাজার এলাকায় চৌধুরী মার্কেটের ৩য় তলায় পশ্চিম রাজাপালং এর হাফেজ ফরিদ আহাম্মদ এর ছেলে অবৈধ ইন্টারনেট (ওয়াইফাই) ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন সাঈদিকে উপস্থিত না পাইলেও তাহার ইন্টারনেট অফিসে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার অনুমান ৯০টি ডিভাইস জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে অবৈধ ইন্টারনেট (ওয়াইফাই) ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন সাঈদিকে পলাতক আসামী হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০১০) এর ৩৫(২)/৫৭(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে মর্মে উখিয়া থানায় বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মামলার জন্য এজাহার দায়ের করেন। এই দুইদিনের অভিযানে সর্বমোট ১৩৬টি অবৈধ মোবাইল ফোন জব্দ, ৯,৭০,০০০/-(নয় লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা জরিমানা এবং একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এবিষয়ে র্যাব-১৫, হোয়াইক্যং ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার এর কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান জানান যে, সরকারি আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।