• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্কঃ / ২২ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক:  চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার ওসি মো. শাহিন। পুলিশ জানায়, ট্রেন থেকে নেমে ভৈরবের মেথরপট্টিতে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল চন্দনের। তিনি মামলার এক নং আসামি বলে পুলিশ জানায়। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

ওসি শাহিন মিয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুই দিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। এমন খবর জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ওসি আরও জানান, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এরইমধ্যে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা এলেই চন্দনকে হস্তান্তর করা হবে।

গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে খুন হয় আইনজীবী আলিফ। সড়কে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে বেশ কয়েকজন এলোপাথাড়ি মারধর করছে। ভিডিওতে হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোদের মধ্যে যাদের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, তাদের অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন উপকমিশনার রইছ উদ্দিন। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি বলছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রুমিত দাশ, গগন দাশ, সুমিত দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, মনু মেথর, আমান দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি। পাশাপাশি তারা হত্যাকাণ্ডেরও জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...