মোঃ আজগার আলীঃ সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তের পদ্মশাখরা, গাজীপুর, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা ও হিজলদী বিওপির সদস্যরা উক্ত মালামাল আটক করেন।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানার বড়ালী নামক স্থান হতে ১৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল এবং ০৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১/২০-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন হাড়দ্দহা মাঠ নামক স্থান হতে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
গাজীপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ৫/৮-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেড়িবাধ নামক স্থান হতে ১৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তলুইগাছা বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেড়াগাছি মাঠ নামক স্থান হতে ১০ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, শার্ট এবং স্টীলের গ্লাস আটক করে।
এছাড়াও, কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস হতে আনুমানিক ২০০-৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানার গাড়াখালী মাঠ এবং কেড়াগাছি ফুটবল মাঠ নামক স্থান হতে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেবিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।