বনি আমিন (ঢাকা) থেকেঃ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন মুহুরিপট্টি এলাকায় বসবাসকারী মোঃ বিল্লাল গাজী এর মেয়ে মোর্শেদা আক্তার উর্মির (২৫) এর সাথে একই থানাধীন সজিব (২৫) এর গত ৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই আসামী সজিব ভিকটিম মোর্শেদা আক্তার’কে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ এবং শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মোর্শেদা আক্তারের বাবা বিল্লাল গাজী আসামী সজিব’কে সর্বমোট ৮,০০,০০০/- ( আট লক্ষ) টাকা যৌতুক হিসেবে প্রদান করে।
মোর্শেদার পরিবার যৌতুক দিতে পারবে না বলে জানালে আসামি সজিব ভিকটিম’কে মারধর করে এবং আত্মহত্যার জন্য বলে। আসামী সজিবের প্ররোচনায় একই তারিখ রাত আনুমানিক ২০.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম মোর্শেদা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া বউবাজার এলাকায় জনৈক ইতি মিয়ার ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মার্শেদা আক্তারের বাবা মোঃ বিল্লাল গাজী বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আসামী সজিব সহ ০৪ জনের বিরুদ্ধে একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৭, তারিখ- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩০৬ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয় টি জানতে পেরে সজিব সহ অন্যান্য আসামী’রা আত্ম- গোপনে চলে যায়।
উক্ত ঘটনা টি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করায় সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের বিষয় টি জানতে পেরে র্যাব-১০ একটি আভিযানিক দল উক্ত আত্মহত্যার প্ররোচনার আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১:২০ ঘটিকায় র্যাব-১০ একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য- প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-০৮ এর সহযোগীতায় বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন গাজিপাড় এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর এই আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী সজিব খান (২৫), পিতাঃ- হাবিব খান, সাং- কেশবকাঠী, থানাঃ- উজিরপুর, জেলাঃ- বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।