• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

এডিসি হারুনের সঙ্গে ‘বিয়ে’ নিয়ে মুখ খুললেন সানজিদা

সংবাদদাতা / ১১৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক:

পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। তবে, বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সানজিদা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সাংবাদমাধ্যমকে সানজিদা আফরিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। ছবির ওই নারী আমি নই।

তিনি বলেন, হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। সানজিদা ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন বারডেম হাসপাতালে সানজিদার সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে তার স্বামী মামুনুল জানতে পারেন। পরে তিনি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে হারুনের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন।

এ বিষয়ে সানজিদা আফরিন বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে আমি বুকে মারাত্মক ব্যথা ভুগছিলাম। সেদিন (৯ সেপ্টেম্বর) পেইনটা একটু বেশিই হওয়ায় ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হারুন স্যারের আওতার মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

সানজিদা জানান, হারুন স্যার আসার পর ডাক্তার ম্যানেজ হয়। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। ঘটনার সময় আমি ইটিটি করানোর রুমে ছিলাম। সেখান থেকেই বাইরে হট্টগোলের শব্দ শুনি। পরে হারুন স্যারকেই চিৎকার করে বলতে শুনি ‘ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’। কিছুক্ষণ পর দেখতে পাই ওখানে আমার স্বামী আজিজুল হক মামুন। ওনার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল। তারা হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন। এসময় আমি আমার স্বামী এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। তখন আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...