নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর নামে মামলা করেছেন এক বিএনপি নেতা। এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা- কর্মী সহ আরও ৯৮ জন)কে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন’ কে। ভাঙ্গার বিএনপি’র নেতা সাইদুর রহমান শিকদার মিঠু বাদী হয়ে বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালত, ফরিদপুর এ মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন (৪৮) (সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদপুর ৪নং আসন, পিতা- মৃত ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ’র ব্যক্তিগত সহকারী ভাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের নেতা ও ছোটখারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শহীদুল ইসলাম, শাহদাত হোসেন (৬০) (সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) পিতা- মৃত দবিরউদ্দিন হাওলাদার, সাং- নয়াকান্দী,৩। কাউসার ভূঁইয়া (৬০) (সদ্য সাবেক ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- শাহমল্লিকদী, ৪। মোঃ আল হাবিব (৫৫) (সাবেক চেয়ারম্যান), পিতা- মৃত তোবার শেখ, সাং- খামিনারবাগ, ৫। আবু জাফর মুন্সী (৬৫), পিতা- মৃত এরফান উদ্দিন মুন্সী, সাং- কাপুড়িরা সদরদী, ৬। ইসমাইল মুন্সী (৪০), পিতা- মৃত হালিম মুন্সী, সাং- কাপুড়িরা সদরদী, ৭। ফাইজুর রহমান (৬০) (সাবেক সাধারন সম্পাদক ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ), পিতা- মৃত হাসেম চোকদার, সাং- পশ্চিম হাসামদিয়া, ৮। মেহেদী পারভেজ চন্দন (৪২), পিতা- মৃত আতিয়ার রহমান বাকী মিয়া, সাং- সরদিয়া, ৯। সোবাহান মুন্সী (৫০) (সাংগঠনিক সম্পাদক ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ), পিতা- মৃত রব মুন্সী, সাং- হোগলাডাঙ্গী।
১০। মামুন, অফিসার ইনচার্জ, ভাংগা থানা, ফরিদপুর, ১১। নজরুল ইসলাম শিকারী (৫৫) পিতা- মৃত রশিদ শিকারী, সাং- সোনাখোলা, ১২। হাজী মেঃ শাহ আলম (নানু) (৬০) (সভাপতি আওয়ামী লীগ ৭নং ওয়ার্ড ভাংগা পৌরসভা), পিং- মৃত ছয়জদ্দিন মিয়া, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী, ১৩। শরিফুজ্জামান শরিফ (৫৫) (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ), ১৪। লাবলু মুন্সী (৫৫), পিতা- অজ্ঞাত, ১৫। জাহিদ মুন্সী (৫০), পিতা- মৃত হাসেম মুন্সী, ১৬। সাদ্দাম মুন্সী (৪০), পিতা- লতিফ মুন্সী (১৪-১৬ নং আসামীর সর্ব সাং- হোগলা ডাঙ্গী সদরদি), ১৭। তারেক চেয়ারম্যান (৪০) (সাবেক চেয়ারম্যান, নুরুল্লাহগঞ্জ ইউনিয়ন), ১৮। আক্তারুজ্জামান মাতুব্বর (৪২) পিং- মৃত আবু বক্কর মাতুব্বর, সাং- সোনাখোলা, ১৯। সৈয়দ শাহিন আলম শাহাবুর (৫০), (সাবেক চেয়ারম্যান, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ), ২০। মোঃ মতিউর রহমান (৬৫), সাবেক সভাপতি ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, পিতা- মৃত রাজেক মাতুব্বর, সাং- গঙ্গাধরদী, ২১। শাহজাহান হাওলাদার (৫৫), (চেয়ারম্যান, আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- পুকুরপাড়, ২২। পরিমল (৬০) (সাবেক চেয়ারম্যান, তুজারপুর ইউনিয়ন পরিষদ), ২৩। সাহেব আলী মাতুব্বর (৪২) (সাবেক কমিশনার ভাঙ্গা ৩নং ওয়ার্ড) পিতা- মৃত আবু মাতুব্বর, সাং- ভাঙ্গা কলেজ পাড়, ২৪। খোকন মিয়া (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- (চেয়ারম্যান, হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদ), ২৫। রোমান (৩২), যুবলীগ নেতা, ঘাজয়া ইউনিয়ন যুবলীগ, পিতা-শাজাহান মাতুব্বর, গ্রাম- রশিবপুরা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর।
২৬। আল- আমিন মুন্সী (৪০), সাবেক সাধারন সম্পাদক ভাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পিতা- আব্দুস সালাম, সাং- হোগলাডাঙ্গী, ২৭। সৈয়দ মাহফুজুল হক, পিতা- সৈয়দ শাহজাদা, সাং- ছিলেধরচর, ভাংগা, ২৮। সাইফুর রহমান মিরন (৬৫) (ভারপ্রাপ্ত সভপাতি উপজেলা ভাঙ্গা আওয়ামী লীগ), ২৯। আক্তারুজ্জামান রাজা (৬০) (সাধারন সম্পাদক, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ) সাং-ভাঙ্গা টাউন, ৩০। মাওলানা ইউসুফ আলী মৃধা (৫৫) (সাধারন সম্পাদক ধর্ম বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা ও প্রধান শিক্ষক পল্লিবেড়া দাখিল মাদ্রাসা ভাঙ্গা), ৩১। রেজাউল হাসনাত দুদু (৫৫) (চেয়ারম্যান কাউলীবেড়া পরিষদ) ইউনিয়ন, ৩২। ইয়াদ শিকদার (৪৮), পিতা- মৃত চান্দা শিকদার, সাং- চৌধুরী কান্দা, ৩৩। দেলোয়ার শিকদার (৬৫), পিতা- মৃত হান্নান শিকদার, সাং- কাপুড়িরা সদরদী, ৩৪। মোঃ মামুন শেখ (৪৫), পিতা- মৃত ইদিস শেখ সাং-চৌধুরী কান্দা সদরদী, ৩৫। বাদশা শেখ (২৮), পিতা- ইলিয়াস শেখ, ৩৬। জালাল শেখ (৩৫), পিং- সালাম শেখ, উভয় সাং- কাপুড়িয়া সদরদী, ৩৭। খোকন মুলী (৫০), পিং- মৃত সোরহাব মুন্সী, সাং- পীরের চর, ৩৮। সামচু মাষ্টার (৫০), পিতা- সোনা মিয়া মুলী, সাং- রায়পাড়া সদরদী, ৩৯। চুন্নু খান, পিতা- মৃত রুস্তম, সাং- চর মুখডোবা, ৪০। আবির হোসেন বিতু (৩০), পিতা- লাইবুল মুন্সী, সাং- নুরপুর, ৪১। আকরাম মোল্যা (৫০), পিং- ধনি মোল্যা, সাং- মুনসুরাবাদ, সাং- মুনসুরাবাদ, ৪২। জুয়েল শেখ (৬০), পিতা- মৃত আব্দুর রব শেখ, সাং- খাপুরা (৪৩) সুজন দাস (৪০), পিতা- মহন দাস, সাং- মধ্য হামিরদিয়া ৪৪। সাগর মাহমুদ, পিং- মৃত মিয়ান আব্দুস সালাম, ৪৫। মনিরুজ্জামান নয়ন (৪৫), সভাপতি, ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, পিতা- মৃতু ইউসুফ খাঁ, গ্রাম- কুমারখালী, পোস্ট- শরীফাবাদ, থানা- ভাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর, ৪৬। পিয়াল শেখ (২৮) (সভাপতি হামিরদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ), পিতা- গুলজার শেখ, ৪৭। জিতু মুন্সী (৩৫), পিতা- হাবিব মুন্সী, সাং- ভাঙ্গা টাউন, ৪৮। আজম মুন্সী (৩২), পিতা- শাহা মুন্সী, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী, ৪৯। রমিম মুন্সী (৩৩), পিতা- কোডন মুন্সী, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী, ৫০। জাহিদ কমিশনার (৩০), পিতা- হাজী নান্নু, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী। ৫১। লিমন মুন্সী (৩০), পিতা- মৃত কয়েস মুন্সী, সাং- হোগলাডাঙ্গী, ৫২। মিয়ান মোঃ আকরাম মুন্সী হোসেন (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল মোতালেব মিয়া, সাং- চন্ডিদশদী, ৫৩। মিঠু শিকদার (৩৫), পিতা- মৃত সত্তার শিকদার, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী, ৫৪। খায়রুল খান (৩৫) (সাধারন সম্পাদক ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ), সাং- সিলেধর চর সদরদী, ৫৫। জহিরুল ইসলাম অভি (৩০), পিতা- ভিপি শওকত, সাং- সোনাখোলা, ৫৬। আজাদ মুন্সী (২৫), পিতা- মৃত কায়েস মুন্সী, সাং- হোগলাডাঙ্গী, ৫৭। নাহিদ (২৮), পিতা- নান্নু ডাক্তার, সাং- চৌধুরী কান্দা সদরদী, ৫৮। বাদল মুন্সি (৪৫), পিতা মৃত্যু শাহজাহান মুন্সি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, গ্রাম- বিবির কান্দি, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, ৫৯। আইয়ুব আলী শেখ (৫২), পিতা- মৃত সাদেক আলী শেখ, সাং- বাইশাখালী, ৬০। এনায়েত খালাসী (৫৫), পিতা- মৃত ইউসুফ খালাসী, সাং- হোগলাকান্দী, ৬১। রেজাউল (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, চেয়ারম্যান কালা মৃধা ইউনিয়ন, ৬২। মীর আশরাফ আলী (৫৮), পিং- মৃত জয়নাল আবেদীন, সাং- মীরেরকান্দা (পুকুরিয়া), ৬৩। আশিকুজ্জামান আশিক (৩৫), সহ-সভাপতি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ, ৬৪। রাজিবুল হাসান বাবু (৪৫), পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক, ভাংগা উপজেলা যুবলীগ, উভয়- পিতা- মৃত আবু বক্কর মিয়া, সাং- পশ্চিম হাসামদিয়া, ৬৫। রনি ভূইয়া (৩০) (সাধারন সম্পাদক যুবলীগ তুজাপুর ইউনিয়ন ও বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়িক) পিতা- তারা ভুইয়া, সাং- তুজারপুর, ৬৬। রুহুল ভূইয়া (৩০), পিতা- আব্দুর রহমান ভূইয়া, সাং- তুজারপুরম, ৬৭। ফরিদ মিয়া (৪৫) পিতা- মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং- পোড়াদিয়া, ফুলসূতী নগরকান্দা, ৬৮। মীর মোশারফ (৬০), পিতা- মৃত মীর জাফর, সাং- ধর্মদী, ৬৯। মোঃ নাছিরউদ্দিন লিয়ন (৪৮), পিতা- মৃত হাবিব খান (চান খা), সাং- ভাঙ্গা টাউন (ডাক বাংলোর পিছনে), ৭০। মেহেদী হাসান কাজল (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- কাপুড়িয়া সদরদী, ৭১। বাদল শেখ (৪২), পিতা- মৃত কাজল শেখ, সাং- তুজারপুর, ৭২। মোসলেছুর রহমান সুমন (৪০) (ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি), ৭৩। মোতালেব মাতুব্বর (৫০) (আজিমনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি), উভয় পিতা- মৃত হাজী ইরফান উদ্দিন, সাং- ইশ্বরদী, ৭৪। সোহেল শিকদার (৩০) (ঘারুয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারন সম্পাদক), পিতা- রাজা শিকদার, সাং- উত্তর চানপট্টি, ৭৫। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০), পিতা- মজিদ মোল্যা, ভাংগা, থানা আওয়ামী লীগ নেতা, পিতা- মৃত আঃ মজিদ মোল্লা, সাং- ছোট খারদিয়া, ডাকঘর- পিরেরচর, ভাংগা, ফরিদপুর, ৭৬। শেখ আরাফাত (৪০), পিতা- শেখ বাদল, সাং- কাউলীবেড়া, ৭৭। মোঃ কিবরিয়া মাতুব্বর (৪০), পিতা- মৃত লতিফ মাতুব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, গ্রাম- বিবির কান্দী, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, ৭৮। কাজী রওশন কবি (৬০), পিতা- মৃত কাজী রফিকউদ্দিন, সাং- কাউলীবেড়া, ৭৯। ওহেদ হাসান (৩০), পিতা- ইসরাইল, সাং- কামারকান্দা (কাউলীবেড়া), ৮০। নাজমুল মেম্বার (৪০), পিতা- শাম চেয়ারম্যান, সাং- পল্লিবেড়া (কাউলীবেড়া), ৮১। সাইফুল ইসলাম (৩০), পিতা- সিরাজুল ইসলাম সিরু সাং- গোবিনাথপুর (হামিরদী), ৮২। লিটন মাতুব্বর (৩৮), ৮৩। জুয়েল মাতুব্বর (৫৫) সহ ৯৮ জন’কে আসামি করা হয়েছে। আরও ৪০/৫০ জন’কে আসামি করা হয়। ফরিদপুরের পিবি আইয়ের পুলিশ পরিদর্শক গৌরাঙ্গ বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক এমপি নিক্সন সহ ৯৮ জনের নামে আদালতে মামলা হয়। এই মামলা টি আমি তদন্ত করছি। মামলা নং- ৮২/২০২৪।