কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কেরানীগঞ্জে চোরাই মোবাইল ফোন সেটে জমজমাট ব্যবসা সয়লাব। কেরানীগঞ্জে কদমতলী চুনকুটিয়া আব্দুল্লাহপুর রাজেন্দ্রপুর হাসনাবাদ সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ও জিনজিরা কোনাখোলা এলাকায় চলছে চোরাই মোবাইল ফোনের জমজমাট ব্যবসা। এ ব্যাবসায় জড়িত রয়েছে ১২ টি গ্রুপ। তারা পুরো কেরানীগঞ্জে চোরাই ফোনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
শুধু কেরানীগঞ্জ নয়, সারা দেশ থেকে আসা চোরাই মোবাইল ফোন এসব সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন কর্মস্থল দোকানপাটে গিয়ে মোবাইল বিক্রি করে এ চক্রের সদস্যরা চোরাই মোবাইল ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন টি (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তন করে ফেলছে কয়েক মিনিটের মধ্যে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরে আর এসব মোবাইল ফোন শনাক্ত করতে পারে না। এ ছাড়া একই (আইএমইআই) নাম্বার বসিয়ে একাধিক সেটও বিক্রি করছে হাড্ডি শাকিল চোরাই চক্রটি।
এদিকে অনেকেই না বুঝে চোরাই মোবাইল ফোন কিনে পরে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেরানীগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নের ও উপজেলা থেকে চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনও চলে আসে কদমতলী চোরাই মার্কেটে। এসব মার্কেট থেকে গত ছয় মাসে কয়েক শতাধিক বেশি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে। তার পরও কমছে না এ বাণিজ্য। বিভিন্ন মার্কেট কেন্দ্রিক ৫০ ব্যাবসায়ী এ ব্যাবসায় জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
আব্দুল্লাহপুর, কেরানীগঞ্জ নুরু মার্কেট ভিতরে একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী জানান, এ মার্কেট সহ কয়েক টি মার্কেটে এ চক্রের বেশ ক’জন ব্যবসায়ীর কাছে (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তনের মেশিন আছে। তারা সরাসরি অপরিচিত কারও মোবাইলের আইএমইআই নম্বরের পরিবর্তনের কাজ করেন না। পরিচিত কোনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে গেলে ৫০০ থেকে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে অল্প সময়েই তা করে দেন।
পুলিশের তথ্যমতে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা এবং ঢাকা জেলা ডিবি সহ গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে হয়। জানা গেছে, ভুক্তভোগী মোঃ ইকবাল জানান তিনি নিজেই একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করে হাড্ডি শাকিল এর কাছ থেকে হাড্ডি শাকিল মোবাইল টি বিক্রির সময় বলে তার মার ব্যবহারিত মোবাইলটি তার মা অ্যান্ড্রয়েড সেট ব্যবহার করতে পারে না এ কারণে মোবাইল সেটটি বিক্রি করবে তখন ভুক্তভোগি হাড্ডি শাকিল এর কাছ থেকে মোবাইলটি কিনে ৬৫০০/ টাকায় পরবর্তীতে গত গত ১০ মে ২০২৩ ইংরেজি রোজ বুধবার দুপুর বারোটার সময় মিরপুর পুলিশ লাইন থেকে কনস্টেবল আশিকুর রহমান আমাকে ফোন দিয়ে জানান মোবাইলটি আপনি কোথায় থেকে পেয়েছেন এই মোবাইলটি আমার ব্যবহৃত সেট এই মোবাইলের চুরি হয় মোবাইলটির মালিক আমি যাহা জি টি ৯৭নাম্বার ০৫ মে ২৩ইং জানান। তারপর ঢাকা কেরানীগঞ্জ কদমতলী এলাকার স্থানীয় সাংবাদিককে বিষয়টি জানায়।
সাংবাদিককে ঘটনাটি বললে তিনি পুলিশ লাইনের কনস্টেবল আশিকুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে আশিকুর রহমান প্রথমে মোবাইলটি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাতে বলে তারপরে বলে আপনার নিকটস্থ কেরানীগঞ্জ মডেল থানা মোবাইল ফোনটি ডিউটি অফিসারের কাছে জমা দিয়ে দেন ভুক্তভোগী সহ ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে মোবাইল টি জমা দেওয়া হয়।
দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের ও বিডিসি ক্রাইম বার্তার কেরানীগঞ্জের সাংবাদিক হাড্ডি শাকিলের মোবাইলে ফোন দিয়ে ফোনটি শাকিলে রিসিভ করে তারপর শাকিলকে জিজ্ঞেস করে এবং ইকবালের কাছে চোরাই মোবাইল ফোনটি বিক্রির কথা প্রথমে স্বীকার করেন তারপর মোবাইলটি ফেরত চায় সাংবাদিক বলে যে আমি মোবাইল ফোনটি থানায় জমা দিয়ে দিছি তারপর হাড্ডি শাকিল বলেন আমাকে জিজ্ঞাসা না করে মোবাইল ফোনটি থানায় জমা দিয়েছেন কেনো।
শাকিল বলে র্্যাব১০ এর ধলপুরের টিমের সিবিসি ১ মো: রুবেল স্যারে এই মোবাইলের সমস্যাটার সমাধান করে দিত আপনারা কেন আমাকে না জানিয়ে মোবাইলটি থানায় দিয়েছেন আমি মোবাইলের কোন জরিমানা দিতে পারব না বলে জানান সাংবাদিকে একাধিকবার শাকিলের কাছে র্্যাব অফিসার রুবেলের নাম্বারটা চায় তিনি মোবাইল নাম্বারটা দিতে রাজি হয় না পরে তিনি বলেন কয়েকদিন পরে আমি মোবাইলের টাকা দিয়ে দিবো এখন অনেক সমস্যায় আছি, কয়েকদিন পরে ভুক্তভোগী মোঃ ইকবাল শাকিল এর কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে ইকবালকে বিভিন্ন ভয় ভিত্তি বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে দিবো হুমকি প্রদান করেন ধাক্কা দিয়ে তাকে সরিয়ে দেন।
এই ঘটনাটির পর সাংবাদিকরা সাকিলে বাসায় ঘটনাটি সত্যতা জানার জন্য গেলে তাকে পাওয়া যায় না তার এলাকায় অস্থায়ী বাসিন্দা জানান হাড্ডি শাকিল ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি কিছুই করেন না তিনি এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন ও একটি জিক্সার হোন্ডা চালায় কি ভাবে তিনি বলেন এলাকার সবাই জানে শাকিল একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মোবাইল চোরাই কারবারি র্্যাব ও পুলিশের সোর্স অনেকদিন যাবত এই কাজ করে বেড়াচ্ছেন তিনি আরো কিছু মাদক বড় ব্যবসায়ীর নাম জানান মানিক, মোঃ ইমরান, মোঃ রাজন, মোঃ রুবেল, মোঃ সোহেল, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ শাওন, মোঃ আলিম, মোঃ মুক্তার, মোঃ পারভেজ, সবচেয়ে বড় গাঁজা ব্যবসায়ী বাদশা, কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারে না কারণ কিছু হলেই র্্যাব পুলিশ নিয়ে ঘুরে এলাকায় আড্ডি শাকিল ও মাদক ব্যাবসায়ী চক্রটি সবাই জিনজিরা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড পূর্ব বন্দ ডাকপাড়া এলাকায় বসবাস করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন অর রশীদ বলেন, তথ্য পেলে আমরা অভিযান চালিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করি। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। চোরাই মোবাইল ফোন চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।