• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী শাহজাহানের দোসরদের পুর্নবাসন করছে বিএনপি নেতা বাবুল হানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের বাইরে কিছু নেই: বাদশা ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শপথ নিলেন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার টুঙ্গিবাড়িতে ১১ হাজার টাকার বীজ আলু ২৬ হাজারে বিক্রি না:গঞ্জে বাউল গানের আড়ালে নাশকতাকারীরা পুলিশকেও ডেম কেয়ার সুনামগঞ্জ সীমান্তে ‌পুলিশের হাতে দুই চিনি চোরাকারবারি গ্রেফতার দুদকের অনুসন্ধানে চিহ্নিত জড়িত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭ ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১০

সংবাদদাতা / ২২১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪

শুভ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চক্রের সর্দার ইলিয়াস ওরফে মাস্টারসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

জানা গেছে, চক্রটি পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে মাছ ধরার জাল সাথে রাখত। পুলিশের টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে মাছ ধরতে যাচ্ছেন বলে জানাতো এই চক্রটি। গ্রেফতাররের পর তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো, ইলিয়াস ওরফে ‘মাস্টার’ (৪৮), শাহিন ওরফে ভাগিনা (২৮), সোহেল (৪০), বাবুল (২৪), আসাদ (৪৩), রাশেদুল ওরফে বিটু (৩০), ওহাব ওরফে নানা(৬২), সামাদ (৫০), দীপু (২০) এবং মকবুল ওরফে মঙ্গল (২৭)।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দুর্ধর্ষ একদল ডাকাত কেরাণীগঞ্জের বলসুতা ও অভ্রখোলা এবং দক্ষিণ কেরাণীঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতি করে আসছিলো। সশস্ত্র এই ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে ফেলে।

তিনি জানান, বাড়ির পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা, চোখ- মুখ বেধেঁ ফেলে। তারপর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ির আলমিরি, শো-কেজসহ সবকিছু ভেঙে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও দামি কাপড়-চোপড়সহ টেলিভিশন খুলে নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে বাড়ির সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে যায়।

কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদল ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের বাধাঁর সম্মুখীন হলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। দুর্ধর্ষ এইসব ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় ডাকাত দলের সর্দার যাকে ডাকাত দলের সদস্যরা ‘মাস্টার’ বলে সম্মোধন করে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে টিম গঠন করে একটি তদন্ত দল ডাকাত ‘মাস্টার’ গ্রুপকে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে। তদন্ত টিম প্রতিটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।

ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়, ডাকাত সর্দার ‘মাস্টার’ এর নেতৃত্বে একটি ভয়ঙ্কর ডাকাতদল সবগুলো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে তদন্ত দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ এই ডাকাতচক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতদলের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার ডাকাতদলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার ও ডাকাতির অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগীরা জানায়, ডাকাত দলের সদস্যরা যে যা খুজেঁ পায় (স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা) সব তাদের ‘মাস্টারের’ কাছে নিয়ে জমা দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...