মোঃ বনি আমিন, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার আগে কাটা চামচ দিয়ে নিহতের দুই চোখ উপরে ফেলা হয়। নিহত সাইফুল শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ থানার বাসিতপুর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় আওলাদ মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।
সোমবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাড্ড্যা ইউনিয়নের খেজুরবাগ সাতপাখি স্কুল রোড এলাকায় একটি মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতপাখি এলাকায় নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি ডিমের দোকানে বসে ছিলো সাইফুল। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল প্রথমে পিটিয়ে ডিমের দোকানে থাকা কাটা চামচ দিয়ে দুই চোখ উপরে ফেলে সাইফুলের। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও হাতে কুপিয়ে জখম করলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের ছোট বোন পপি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিলো। ইতিমধ্যে তার ভিসাও চলে আসে। গতকাল তাকে সারপ্রাইজ দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমার ভাই আমেরিকার বদলে চলে গেলো পরপারে। আমি আমার ভাই হত্যাকারীদের ফাসি চাই। নিহতের দুলাভাই রুবেল জানান, সাইফুল পুলিশের সোর্সের কাজ করতো। এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে সে। কিছুদিন আগে জানে আলম নামের একজনকে ধরিয়ে দেওয়ায় সে জামিনে বেরিয়ে দলবল নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ-জামান জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।