• বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
খাগড়াছড়িতে রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তি নির্ভরযোগ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে নাসা গ্রুপ হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়ার’ নাটক  ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসি ও নির্যাতন-ধর্ষণ প্রতিরোধ ট্রাইবুনাল গঠনের দাবিতে মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: সিইসি ফুলপুরে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ মাগুরার সেই ঘটনায় ৪ জনের নামে মামলা অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা

খাগড়াছড়িতে রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ২৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি?
———–
খাগড়াছড়িতে চার সংবাদ কর্মীকে মিথ্যা সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় জেলে ঢোকানোর নেপথ্য কাহিনি ফাঁস হয়েছে। সেখানে অবৈধ ইটভাটা মালিকের অনুরোধে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন, সৃষ্টি হয়েছে জঘন্যতার। ওই সাংবাদিকদের উপর তিনি প্রথম ছাত্রদল কর্মীদের লেলিয়ে দেন। তারা ওই সাংবাদিকদের হেনস্তা করেন এবং তাদের আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, টাকা- পয়সা ছিনিয়ে নেন।

এর পর পরই প্রফুল্ল বাবুর পাঠানো পুলিশ সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু পূর্ব মুহূর্তেই ছিনিয়ে নেয়ায় সংবাদ কর্মীরা তাদের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ প্রথমে তাদের’কে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আটক করে। দীর্ঘ সময় দেন দরবার শেষে সাজানো হয় চাঁদাবাজির মামলা। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দীঘিনালায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পরিচালিত ফোর বি ইটভাটা থেকে।ওই ইটভাটার মালিকানায় রয়েছেন মোহনা টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি প্রফুল্ল‘র অন্ধ ভক্ত।

গত ২০ জানুয়ারি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ অভিযান চালিয়ে ফোর বি ইটভাটা’কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং স্থায়ী ভাবে ভাটাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রফুল্ল বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আলমগীর তার ইটভাটা যথারীতি চালু রাখছিলেন। সফররত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় সে দৃশ্য উঠে আসায় দ্রুত সেখানে হাজির হন সাংবাদিক- কাম- ভাটা মালিক আলমগীর হোসেন। তিনি অনুনয় বিনয়ের একপর্যায়ে ৫০০০ টাকা তাদের পকেটে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করেন।

কিন্তু সাংবাদিকরা সে টাকা না নেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে গুরু এইচ এম প্রফুল্ল‘র সাহায্য চান। বাকিটা ঘটেছে তার রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তিতে…মামলার এজাহারে আলমগীর বলেছেন, তার ইটভাটায় গিয়ে এ চার সাংবাদিক দুই লাখ টাকা দাবি করলে তিনি এক লাখ দিতে রাজি হন। তা মশায়, আপনার ইটভাটার নামটা কি? আপনার ভাটা তো দুই মাস আগেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি কার নির্দেশে চালু করেছেন?

চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি? নিউজটি লেখার আগে খাগড়াছড়ির সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের মনে একবারও সে প্রশ্নটি উদয় হয়নি?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...