• শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন

গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউঃনে ইকবাল ফকির গং দের চাঁদাবাজি বন্ধ হবে কবে?

সংবাদদাতা / ১৫১ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

লাকী আক্তার:  ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ৬ নং রওনা ইউনিয়নে প্রায় এক যুগ ধরে চলছে জমি দখল, বিচারিক দখল, ফসলি জমির মাটি দখল, এবং চাঁদাবাজির অরাজকতার কালো ঘর। গফরগাঁও উপজেলার ৬ নং রাওনা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের হুমায়ুন মিয়া ও তার ছেলে সজীব মিয়া  ভাড়া বেকো এনে বিভিন্ন ধরনের মাটি কাটার ব্যবসা করে কোনমতে নিজের সংসার পরিচালনা করে আসছিল।তার কাছে বার বার চাদার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল চাদা না দেয়া থেকেই শুরু হয় হুমকি।

চক্রটির মুল হুতা সন্ত্রাসী ইকবাল গং রাওনা ইউনিয়নের দীঘা গ্রামের ইকবাল ফকির,আকরাম ফকির, পিতা আব্দুল হক ফকির, ইলিয়াস মিয়া পিতা আঃ মোতালেব, শফিক ফকির পিতা আব্দুস সালাম ফকির,সালাউদ্দিন বাদল, পিতা মোতালেব মিদ্দা তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।মোঃ হুমায়ুন মিয়া বলেন গত ২৩/৪/২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যার সময় আমি ও আমার ছেলে সজীবকে নিয়ে বাড়ির পাশে দীঘা ফকির বাড়ীর মোড়ে দোকানে আসার পর আমরা কিছু বুঝার আগেই সন্ত্রাসী ইকবাল ফকির ও তার ভাই সহ সঙ্গপাঙ্গ দেরকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আমার ও আমার ছেলের উপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে এবং সন্ত্রাসী ইকবালের হাতে দা দেখে আমি ভয়ে জোরে জোরে চিৎকার শুরু করি । আমার চিৎকার শোনার পর পার্শ্ববর্তী সবাই এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে এবং রাত্রেই  আমি ও আমার ছেলেকে বাড়িতে দিয়ে আসে এবং বলেন সকাল বেলা দেখা যাবে কার দোষ কার গুণ।

হুমায়ুন বলেন আমি সবার কথামতো বাড়িতে চলে যাই আমি বাড়ি যাওয়ার ঘন্টা দুয়েক পর সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ইকবাল তার সঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে আমার বাড়ির আশপাশে আমাকে উদ্দ্যেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং আমাকে মেরে ফেলবে বলে শেষ বিদায় নিয়ে বাড়ি থেকে বাইর হইতে বলিয়া সে চলে আসে। পরদিন সকালে ইকবাল গংদের আনাগোনা উপলব্ধি করে আমি বাড়িতে অবস্থান নিয়ে থাকি পরে আমার জানের নিরাপত্তার জন্য এবং বর্তমান ইউনিয়নের যে পরিবেশ সন্ত্রাসীদের বিচক্ষনতার দাপটে এলাকায় কেউ বিচার করতে সাহস পায় না। কারণ এই চাঁদাবাজদের আরো কোন কোন সদস্য বর্তমানে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হুমায়ুন আরো বলেন ইউনিয়নে ওদের বড় একটি চক্র আছে কোথাও ফসলের জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি করছে । সরকারি জমিতে খাল,বিলএগুলি তাদের দখলে নিয়ে তারা মাটি উঠিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এবং এই ভয়ানক চক্রটি প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল, জোরপূর্বক জমির দলিল,ফসলী জমির মাটি বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করছে।আর যদি তাদের কথা অনুযায়ী কেহ না চলে তাহা হইলে তাহারা বিভিন্নভাবে নির্যাতন নিপীড়ন ও মেয়ে দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। গত কদিন পূর্বে বড়াইলগ্রামের এক লোকের কিছু জমি চোরপূর্বক দখল করে এবং লাউতৈল গ্রামের একজন অসহায় কৃষকের জমি দখল করে নিয়েছে।এইভাবে রাওনা ইউনিয়নের প্রায় জায়গা থেকেই তারা অসৎ উপায়ে বিভিন্ন কলা কৌশলে তাদের স্বার্থে বানিয়েছে লোটের সিংহাসন। তাদেরকে কেহ কিছু বলতে সাহস পায় না আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলার অজু করেছি আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে ইউনিয়নবাসীকে বাঁচানোর জন্য এবং জুলুম নির্যাতনের মূল হোতাদেরকে আইনের আওতায় এনে সমাজে শান্তিতে নিজ নিজ কর্ম করার মত পরিবেশ করে দিবেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা নাম না বলার শর্তে বলেন সাংবাদিক সাহেব আসলেই আমরা যুদ্ধ করেছিলাম দেশের মানুষ স্বাধীনতা নিয়ে স্বাধীন হয়ে থাকবে এবং যে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধ করেছি সেই বঙ্গবন্ধুর কবরেও আত্মার শান্তি পাবে । কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা কিছু কিছু চরিত্রহীন ছেলেরা সমাজের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে বলে প্রচার করেছিল ওই দায়িত্ব নেওয়া মানুষগুলি আজ আমাদের এলাকার জন্য ভয়ানক চাঁদাবাজি,ভেলকিবাজি ,ইত্যাদি অসামাজ মুলক কাজে লিপ্ত হয়ে সমাজকে আগ্নেয়গিরি বানিয়ে তুলছে। আসলে আমাদের যদি ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে যাওয়া বা বলার সুযোগ হতো বা ইজ্জতের হানি না হতো এমন প্রতিশ্রুতি পেতাম তাহলে আমি নিশ্চয়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে পারতাম। জনস্রোতে বলতে শোনা যায় যে রাওনা ইউনিয়নে কয়েকটা সন্ত্রাস এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে মানুষের অভিশাপে ওদের জীবন কেড়ে নিয়েছে আরো কিছু সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসের উপদেষ্টা বিভিন্নভাবে আইনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।আমরা এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে সমাজকে মুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ফকির বাড়ি সংলগ্ন মোড়ের কয়েকজন দোকানদার ও জনসাধারণ একবাক্যে ইকবাল, আকরাম ,ইলিয়াস সন্ত্রাসী গংদের অত্যাচার থেকে কিভাবে বেঁচে থাকা যায় সেই রকম একটি পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করার অনূরুধ  জানান।হুমায়ুন বলেন আমি মামলা করেও বাড়িতে থাকতে পারতেছি না বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এলাকা ঘুরে আমাদের প্রতিনিধি জানান এদের বেশ কিছু সদস্য রাতের আঁধার থেকে শুরু করে দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পন্থায় অসামাজিক কার্যকলাপ চাঁদাবাজি ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকে। কয়েকজন শিক্ষক ও রাজনৈতিক সাংবাদিক কে বলেন আপনারা সমাজের সত্য ঘটনাগুলি তুলে ধরুন যাতে আমাদের নেতা জনাব ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল জানতে পারেন তাহলেই মনে হয় সন্ত্রাসীরা হয় ভালো হয়ে যাবে না হয় দেশ ছেড়ে যাবে । কারণ মরহুম আলতাব হোসেন গোলন্দাজ এর শাসনামল থেকে আজ পর্যন্ত এই গফরগাঁও কে শান্ত সুশৃংখল ও সামাজিকভাবে মানুষ শান্তিতে চলতে পারতেছে , সন্ত্রাসী আস্তানার কথা আমরা যদি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি তাহলেই আমরা আমাদের সমাজকে শান্তিতে রাখতে পারব। এমপি ফাহমী  গোলন্দাজ বাবেল মহোদয়ের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা রেখে আমরা এই সন্ত্রাসীদেরকে মুল থেকেই দংশ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। জিডি নং ১২৯৩/২৯/০৪/২০২৪।গফরগাঁও থানা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...