বেলায়েত হোসেন বাবুঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনলাইন পোর্টালের খবরের লিংক গ্রুপে দেয়া কেন্দ্র করে সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলামকে মারপিট করে আহত করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল লতিফ প্রধানের দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনী প্রচারণা খবরের অনলাইন পোর্টালের লিংক “সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিক পরিবারের” মেসেঞ্জার গ্রুপে দেয়াকে কেন্দ্র করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানিজেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলামকে পুরাতন উপজেলা গেটের সামনে রেজাউলের চায়ের দোকানে মারপিট করে আহত করেছেন। সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খবর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সাংবাদিক পরিবারের গ্রুপে দেওয়াতে অপ- সাংবাদিক পিন্টু সরকার আব্দুল লতিফ প্রধানের নিউজের নিচে বাজে কমেন্ট শুরু করে।
সাংবাদিক ফরহাদুল গ্রপে বিষয় টি এডমিন ইউএনও মো.মাসুদুর রহমানকে অবগত করেছিলেন। সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম আরো বলেন, এর আগেও ঐ গ্রপে অপসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম অবুঝ, পিন্টু সরকার, লিয়ন রানা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছিলেন। বিষয় টি সাবেক উপজেলা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল- মারুফ মহোদয় কে অবগত করলে তিনি আইনি সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিন্তুু সন্ত্রাসীদের টাকার গরম ও ক্ষমতার দাপটে তখনো তাদের কোন বিচার করা হয়নি।
ফের গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল লতিফ প্রধানের নিউজ গ্রপে দেখে নতুন বাংলার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি অপ- সাংবাদিক পিন্টু সরকার এই লেখা নিচে বাজে কথা ও নিউজ না দেয়ার হুমকী দেন এবং পরে সেটিকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে দুপুর ১১.৩০ মিনিটে পুরাতন উপজেলা গেইটের সামনে জনৈক রেজাউল ইসলামের চায়ের দোকানের ভিতর একা পেয়ে মাইটিভির সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি অপ- সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম অবুঝ, মাইটিভির ক্যামেরাম্যান লিয়ন রানা ও নতুন বাংলার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি পিন্টু সরকার সহ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চায়ের দোকানের প্রবেশ করে আমাকে অর্তকিতভাবে মারপিট শুরু করে এবং মারামারি দৃশ্য ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে আর বলে যে, আমরা মারপিট করেছি তার প্রমাণ রেখে দেবো।
তিনি আরো বলেন, মারপিটের সময় আমার চিৎকারে শুনে আশেপাশে লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে আমার এবং আমার পরিবারের কোন নিরাপত্তা নেই,প্রশাসন নিরব। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থান ত্যাগ করার সময় বলেন, ঈদের পর আবারো আমাকে জানে মেরে ফেলবে, এই হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এসময় আমার গুরুতর অবস্থা দেখে, দোকানদার রেজাউল অটোরিক্সাতে তুলে দিলে তার ফুফাতো ভাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে সে অসুস্থ বেশি হলে তাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোঃ সুমন মিয়া তাকে রেফার্ড করে অ্যাম্বুলাস যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ এণ্ড হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজামান জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।