নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো নায়ক রিয়াজ। এখন খুব বেশি একটা অভিনয়ে দেখা না মিললেও সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেক আগে এক জনসভায় গিয়ে তিনি ইউরোপের সঙ্গে চট্টগ্রামকে তুলনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা বা কোনো সমস্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হলেই উঠে আসে রিয়াজের নাম। ভাইরাল হয়ে যায় তার সেই মন্তব্য।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে আবারও কথা বললেন এই নায়ক। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ডুবে গেলেই মানুষ আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হাতে মাছ ধরিয়ে দেয়, ট্রল করে। এটা আমার কাছে খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে। তবে একটা কথা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে—এটা করে ওই মানুষটা যদি আনন্দ পায় তবে পাক। আমি খুব ইতিবাচক মানুষ। আমি এ কারণেই এটা বলেছি যে চট্টগ্রাম অনেক ডেভেলপ হয়েছে। চট্টগ্রামে চমৎকার রাস্তা তৈরি হয়েছে, টানেল তৈরি হয়েছে কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে। আবার এটা ঠিক যে চট্টগ্রামের অনেক রাস্তা আছে, অনেক এলাকা আছে যেখানে অল্প বৃষ্টি হলেও ডুবে যায়। এটা আমাদের কারও কাছেই কাম্য না। আমরা বলি বীর চট্টলা, এটা একটা পোর্ট সিটি। আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের সবকিছুই চট্টগ্রাম থেকেই আসে।
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে আমি বলব সেখানে যারা দায়িত্বরত রয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তরিকভাবে যেন তারা কাজ করেন। আমি দেখেছি চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে এক মেয়ে মারা গেছেন। যখন একজন মেয়ে ড্রেনে পড়ে মারা যায় তখন এই কষ্টটা ওর ফ্যামিলির বুকে যতটা লাগে হয়তো আমার বুকে লাগে না। তারপরও লাগে। আমি এটা নিয়ে কষ্ট পাই, আমি এটা চাই না। এটা আমাদের কাম্য না। আমি বলব নিচু অঞ্চলগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেখানে দায়িত্বরত আছেন, সিটি মেয়র আছেন, তাদের পজিটিভলি কাজ করতে হবে। আগে প্লাস্টিকের বোতল ছিল না, এখন আমরা পানি খেয়ে প্লাস্টিকের বোতল ফেলে দিই, সেসব যায় কোথায়? হাজার হাজার টন প্লাস্টিকের বোতল এসব ড্রেনের মুখে আটকে যায়। তাই এটিও আমাদের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত, আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ২৬ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা সদরের কমলাপুর মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন রিয়াজ। তার বাবা জাইনুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা আর মা আরজুমান্দ আরা বেগম ছিলেন গৃহিণী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট রিয়াজ।