• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

জামায়াত কর্মীর মৃত্যুর ১১ বছর পর হত্যা মামলা; ওসি আলী আজমসহ ৩৫ জন আসামি

রিফাত আরেফিনঃ / ৩ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

রিফাত আরেফিনঃ মণিরামপুরের জয়পুর গ্রামের জামায়াত কর্মী আনিছুর রহমানকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আজম ও ২১ পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহতের পিতা জামায়াত কর্মী ইব্রাহীম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুর রহমান অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুচ।

অপর আসামিরা হলেন, মণিরামপুর থানার সাবেক এসআই শংকর চন্দ্র মাতব্বার, এসআই নিশিকান্ত সরকার, এসআই মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া, এসআই জামিরুল ইসলাম, এসআই রমজান, এসআই তাসনিম আলম, এসআই রবিউল ইসলাম, এসআই শিকদার মতিয়ার রহমান, এসআই শাহ হোসেন, এসআই মহসিন আলী, এসআই বাবর আলী, এসআই সেলিম, এএসআই আশরাফুল, এএসআই জাকির, এএসআই আব্দুল্লাহ, এএসআই ইকরামুল, এএসআই ফারুক, এএসআই কামাল, এএসআই প্রসেনজিত কুমার মল্লিক, এএসআই ইমলাক হোসেন, জয়পুর গ্রামের মৃত জব্বার সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান, মৃত মোজাহার সরদারের ছেলে আব্দুল মজিদ, মৃত নওশের আলী মহলদারের ছেলে মোমতাজ আলী, ইয়াকুব্বর আলী মোল্যার ছেলে হোসেন আলী মোল্যা, আকবার আলী সরদারের ছেলে আজিজুর রহমান রাজিব, মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু, মৃত আব্দুস সালাম দফাদারের ছেলে ইসলাম।

মৃত ইয়াকুব্বর সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান সরদার, এমরান মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মৃত আক্কাস আলী গাজীর ছেলে মিকাইল হোসেন, ঢাকুরিয়া গ্রামের হারান সরদারের ছেলে ইনতাজ আলী, মণিরামপুরের অনিল ঘোষের ছেলে বিপ্লব ঘোষ বাপ্পি ও মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের ইব্রাহীম মোল্লা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৩ সালের ২২ মার্চ গভীর রাতে একদল পুলিশ ইব্রাহীম মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে আনিছুরকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

আসামিরা যাওয়ার সময় ইব্রাহীম মোল্লাকে থানায় দেখা করতে বলে। ওই রাতে ইব্রাহিম মোল্লা স্বজনদের নিয়ে থানা গেলে আনিছুরের বিরুদ্ধে নাশতকার অভিযোগ এনে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আসামিরা তাকে গালিগালাজ দিয়ে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে আসে ইব্রাহীম ও তার স্বজনেরা। পরেরদিন সকালে ইব্রাহীম মোল্লা লোকমুখে জানতে জানতে পারেন জামতলা কাচা রাস্তার ওপর গুলিবিদ্ধ আনিছুরের মরদেহ পড়ে আছে।

এ সংবাদের ভিত্তিতে ইব্রাহীম মোল্লা স্বজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরাসহ আরও অনেক পুলিশ পথিমধ্যে গতিরোধ করে মরদেহের কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। তড়িঘড়ি করে পুলিশ আনিছুরের মরদেহ গাড়িতে তুলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর মামলা করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঘটনার ১১ বছর পর আদালতে এ মামলা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...