• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার-৪

সংবাদদাতা / ১৮৭ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মোঃ রুবেল হোসেন,(সাভার): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী জাহিদ বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধেও আশুলিয়া থানায় মামলা (মামলা নং-১০) দায়ের করেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার বাকী দুই পলাতক আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলার বালিয়াহাটি এলাকার মজিবুর রহমান খান এর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৮), বগুড়া জেলার শেরপুর থানার পারভবানিপুর এলাকার মৃত ফজলুল হক সরকারের ছেলে সাব্বির হাসান সাগর (২৪), কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার মেওয়াশী এলাকার মফিজুল হক সিদ্দিকির ছেলে সাগর সিদ্দিক (২৬) ও রংপুর জেলার কোতয়ালী থানার পন্দাদাশ এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে হাসানুজ্জামান (২৬)।

তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর মীর মশাররফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক‌ বলে জানা যায়।

পলাতক আসামীরা হলো- নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার আমন্ত এলাকার হাসির উদ্দিনের ছেলে মামুসুর রশিদ ওরফে মামুন (৪৪) ও বগুড়া জেলার মুরাদ (২২)। এদের মধ্যে মোস্তাফিজ জাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। সাগর সিদ্দিকী, মুরাদ ও হাসানুজ্জামান স্নাতকোত্তর শেষ করে হলেই অবস্থান করছে এবং সাব্বির সাগর উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানান, ভুক্তভোগী ওই দম্পতি ও অভিযুক্ত মামুন একই বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। এরপর আটককৃতের স্ত্রীকে ফোন করে তার নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনতে বলেন মামুন।

মামুনের জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। পরে জিনিসপত্র নিয়ে মামুন হলের ভেতরের ওই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর ‘তার স্বামী ওইদিকে আছে’ বলে ওই গৃহবধূকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আবদুল্লাহিল কাফি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ভুক্তভোগী স্বামী থানা পুলিশকে অবহৃত করলে সাভার মডেল থানা পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশের একাধিক ট্রিম ঘটনার বিবরণ শোনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। পরে সাভার- আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার সাথে জড়িত কেউ ছাত্রলীগ নেতা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো জানতে পারিনি। পরে জানাতে পারবো। তবে অপরাধী যেই হোক না কেন কেউ আইনের উর্ধে নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...