পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চর আপতি নামক স্থানে গতকাল শুক্রবার ট্রলার ডুবিতে বর সহ চারজন নিখোঁজ নিহত এক। নিখোঁজরা হলেন উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদরের ছেলে রাব্বি (২৫), স্ত্রী মোসাঃ সেলিনা বেগম(৪৫), ভাগনি খাদিজা(৭) ও মারিয়া(৮)। নিহত মনিরের বোন লিপি বেগমকে মৃত্যু উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার চরবোরহান ০৯ নং ওয়ার্ড উত্তর শাহজালাল গ্রামের মোঃ হুমায়ন কবিরের মেয়ে মোসাঃ সুমাইয়া বেগমের সাথে রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মোঃ মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাব্বির সাথে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকলাপ বর পক্ষ বৌ আনতে যায় কনের বাড়িতে।
কনেকে নিয়ে বিকেল ৪ টায় আউলিয়াপুর বরের বাড়ি ট্রলার যোগে রওয়ানা দিয়া আউলিয়াপুর ও চরবোরহান মধ্যবর্তী চর আপতি নামক স্থানে ঝড়ের কবলে পরে ট্রলার উল্টে বর ও কনের পরিবারে প্রায় ২০ জন ডুবে যায়। ১৫ জন সাতরে তীরে উঠলেও বর সহ ৪ জন নিখোঁজ, নিহত এক।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজির আহমেদ সরদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নাফিসা নাজ নীরা ও উপজেলা ফায়রা সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দশমিনাকে জানালে ঘটনা স্থলে ছুটে যায়। এখোন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে বর সহ চারজনকে পাওয়া যানি।
প্রত্যক্ষ দর্শী মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার বলেন আমার ছেলে বৌকে নিয়ে আসার সময় চর আপতি নামক স্থানে আসলে ট্রলার উল্টেযায়। ট্রলারে প্রায় ২০ জন ছিলাম। আমার স্ত্রী সেলিনা ভেসে যাওয়ার সময় ৭ বছরের কন্যা খাদিজাকে আমার হাতে দিয়ে ডুবে যায় তাকে বাঁচাতে পরিনি। এখনো আমার স্ত্রী সেলিনা, আমার ছেলে মোঃ রাব্বি, ভাগনি খাদিজা ও মারিয়াকে খুজে পাওয়া যানি। আমার বোন লিপি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে সৈয়দজাফর জেলেরা।
উপজেলা ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয় জানার পর আমরা ঘটনা স্থলে এসে প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। পটুয়াখালী ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে কিছু খনের মধ্যে এসে পৌছাবে তার পর পূনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন ঘটনার বিষয় শুনে আমি ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছাইয়াছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযানের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত আছে। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দশমিনা ও পটুয়াখালী ইউনিট, দশমিনা নৌ- পুলিশ ফাঁড়ি ও থানা পুলিশ কাজ করছে।