এবার ঈদুল ফিতরে টিকিটবিহীন যাত্রীদের রেলস্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে ট্রেনের ছাদে ওঠাও এবার নিষিদ্ধ থাকবে। এ দুটি সিদ্ধান্ত কার্যকরে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১ এপ্রিল) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ূন কবির ও রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত একটি টিম পরিদর্শন করে। তারা স্টেশনে যাত্রীর প্রবেশপথগুলো ঘুরে দেখেন। পরে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আলোয়ান হোসেন বলেন, এবার যেহেতু ঈদের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে, তাই যাত্রীরা সচেতন হয়ে আগেই অগ্রিম টিকিট অনলাইন থেকে কিনবেন। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতে পারবেন। সেটাও কঠোর চেকিংয়ের মাধ্যমে ঢুকতে হবে। কারণ স্টেশনগুলোতে এবার এক্সেস কন্ট্রোল (প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ) জোরদার করা হবে। ফলে এবার স্টেশনে বিনা টিকিটে কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে টিকিটধারী যাত্রীরা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে স্টেশনে ঢুকতে পারেন সেই বিষয়ে রেল পুলিশের সদস্যরা কাজ করবেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তার জায়গায় যতটুকু করা দরকার, সেটা রেল পুলিশের পক্ষ থেকে করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশনে বাউন্ডারি আছে। এক্সেস কন্ট্রোলে এই স্টেশনে তেমন সমস্যা হবে না। তবে টঙ্গী স্টেশনের দুই পাশ একেবারেই খোলা। ফলে সেই জায়গাটায় এক্সেস কন্ট্রোল করা আমাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে যেহেতু সব টিকিট অনলাইনে, ফলে কাউন্টারে ভিড় হবে না। তাছাড়া ট্রেনের ছাদেও কোনো যাত্রী উঠতে দেওয়া হবে না। স্টেশন পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদত আলী, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান প্রমুখ।