• বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা যুবদল নেতা হত্যা, শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘পাতা সোহেল’সহ গ্রেফতার ২ বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ : সিইসি তুরাগে যৌতুকের কারণে গৃহবধূকে মারধর! টিআই জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ সিরাজদিখানে পুলিশের সামনেই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মিছিল ঢাকা ২ আসন থেকে এনপিপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন সুমন লি‌বিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৭০ বাংলাদে‌শি সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন

ডাক্তার শূন্য কুয়াকাটা হাসপাতাল

মৃধা বেলাল, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি / ৩৩ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

মৃধা বেলাল,  (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল আবারও চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ দায়িত্বরত একমাত্র চিকিৎসক সুপ্রিয়া দাসের বদলির পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ কোনো রকমে চলছে একজন উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারের ভরসায়। জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ জুলাই আফরোজা আকবর নামে প্রথম চিকিৎসক পদায়নের মাধ্যমে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে ওই চিকিৎসক লাপাত্তা হয়ে যান। পরে ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে কখনো একজন, কখনো দুজন চিকিৎসক দিয়ে নামমাত্র সেবা চালু ছিল।

হাসপাতালটিতে চারজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও একজন মেডিকেল অফিসারসহ মোট ছয়টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোনো চিকিৎসকই কর্মরত নেই। কাগজপত্রে হাসপাতালটিতে ১৭ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও, ১২টি পদ শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন পাঁচজন, বাকি কর্মীদেরও অনেকেই প্রেষণে অন্যত্র যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ কোনো ভাবে চালানো হচ্ছে একজন উপ- সহকারী মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুয়াকাটায় যাওয়া পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকালে হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, লতাচাপলীদিয়ার আমখোলা এলাকা থেকে আসা মমতাজ বেগম (৩৮) ফিরে যাচ্ছেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু নেই শুনে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে ফিরে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হাসান বলেন, হাসপাতাল টি চালুর পর থেকে কখনোই পূর্ণাঙ্গ জনবল ছিল না। ফলে কুয়াকাটা পৌরসভা ও মহিপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এখন একজন চিকিৎসকও নেই।

আমরা কুয়াকাটাবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, কুয়াকাটা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। হাসপাতালটিতে দ্রুত পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়নসহ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শঙ্কর প্রসাদ অধিকারী জানান, কুয়াকাটাসহ উপজেলায় চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারকে জরুরি ও বহির্বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া জানান, একজন চিকিৎসক ছিলেন, যার গত মাসে বদলি হয়েছে। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...
Link Copied!