ডাসার মাদারীপুরঃ- মাদারীপুরের ডাসারে ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে মাসের পর মাস ধরে চলছে অবৈধ ভাবে একটি কিন্ডার গার্টেন। আর কিন্ডার গার্টেনটি পরিচালনা করছেন স্বয়ং ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।
স্থানীয়রা, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র- ছাত্রীরা জানায়, ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হাওলাদার মোঃ একরাম ও তার স্ত্রী ঐ কিন্ডার গার্টেনটি পরিচালনা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডি.কে আইডিয়াল কলেজের ক্যাম্পাস উত্তর ডাসার থেকে দক্ষিণ ডাসারে স্থানান্তরের পর ডি.কে কলেজের ক্লাসরুম গুলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। এরপরেই কলেজের শিক্ষক হাওলাদার মোঃ একরাম হোসেন বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি বাণিজ্যিক স্কুল কিন্ডার গার্টেন চালু করেন। একই ক্যাম্পাসে কিন্ডারগার্টেন ও হাই স্কুল পরিচালনা করায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
একরাম হোসেন ডি.কে কলেজের শিক্ষক তাঁর স্ত্রীও ডি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বেতন- ভাতাসহ সকল সুবিধা নিয়েও সে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ব্যবহার করে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে কিন্ডার গার্টেন চালাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ১০ ম শেণীর ছাত্র সাবিদ বলেন, আমরা ক্লাসরুম সংকটের কারনে গ্রুপ ক্লাস করতে পারিনা মাঝে মধ্যে বসে থাকতে হয়। যেহেতু আমরা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আমাদের গ্রুপ ক্লাসগুলো ল্যাবরেটরীতে গিয়ে করতে হয় কিন্তু ল্যাবরেটরীর পাশের রুমে কিন্ডার গার্টেন স্কুল চলে অথচ আমরাই ক্লাস করতে পারছি না। আরেক শিক্ষার্থী মেঘলা বলেন, আমাদের ক্লাসরুমে কিন্ডার গার্টেন স্কুল চলে এইজন্য আমরা ক্লাসের সুযোগ না পেয়ে ল্যাবরেটরীতে বসে ক্লাস করি কিন্ডার গার্টেনের বাচ্চাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আমাদের ক্লাসে সমস্যা হয়।আমরা ক্লাসে মনযোগ দিতে পারি না।
এ বিষয়ে ডি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি ডি সি স্যার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের বিষয়ে ডিসি স্যার একটা মিটিং করছেন, আরেকটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত দিবেন স্কুলের রুম ব্যবহার করে কিন্ডার গার্টেন স্কুল পরিচালনা হবে কিনা। কিন্তু মিটিং এখনো হয়নি এর আগে থেকে কিন্ডার গার্টেন পরিচালনা শুরু হয়ে আসছে। আর আমি কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারকে বলছি স্যার আমাদের ছাত্র- ছাত্রীদের ক্লাস রুমের সমস্যা। তিনি বলছেন আচ্ছা আমি দেখবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ভেতরে কিন্ডারগার্টেন আছে, সেটা জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে বিষয়টি দেখবো। মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।#