নিজাম উদ্দিন, ঢাকা : সাড়ে ছয় হাজার ইয়াবা সহ ধরা পড়া ময়মনসিংহের ত্রিশালের মঠবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম রুবেলকে।কক্সবাজারে ত্রিশাল ছাত্রলীগের ‘আনন্দ ভ্রমণ’ শেষে ফেরার পথে গত ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে ‘নিখোঁজ’ হন রুবেল। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, তার ছেলেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। পাঁচ দিন পর জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি – ২০২০ রাতে ৬ হাজার ৪৫০টি ইয়াবাসহ রুবেলকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ-৭ আসনের এমপি রুহুল আমিন মাদানীর ছেলে হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে গত ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা কক্সবাজারে যান। রুবেলও তাদের সঙ্গে ছিলেন। ইয়াবা চালানসহ রুবেলের ধরা পড়ার ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভ্রমণ শেষে ‘সৌখিন’ পরিবহনের তিনটি বাসে ছাত্রলীগ নেতারা ত্রিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাস ঢাকায় পৌঁছালে ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার কথা বলে উত্তরায় নেমে যান রুবেল।
এরপর কী হয়েছে তা জানেন না হাসান মাহমুদ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থেকে ফেরেন। ফেরার পর লোকমুখে জানতে পারে রুবেল নিখোঁজ। দুইদিন পর খবর পান রুবেল ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলে জরুরি বৈঠক ডেকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ভ্রমণের সময় রুবেল কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনেছেন কী না, তা জানা নেই বলে জানান এমপি পুত্র হাসান মাহমুদের।
মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততা, মাদক ব্যবসায়ীদের ছাত্রলীগে পদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমার বাবা দুইবারের এমপি। বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে।’ এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন হাসান মাহমুদ।
ত্রিশাল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রুবেলকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ী ভাবে তাকে বহিষ্কার করা হবে।