নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- নিন্মচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানির চেয়ে ২ থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সমুদ্র ও উপকুলীয় এলাকার নদ নদীতে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার ট্রলার বৈরী আবহাওয়ার পুর্বাভাস পেয়ে আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রেতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও পর্যটকদের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলসহ ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সোমবার রাত থেকে মুশলধারে বৃস্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘে ঢেকে রয়েছে। দিনভর বৃস্টি ও থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়ার কারনে স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যবহত হয়েছে। উপকুলীয় এলাকার খাল বিল বৃস্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বহাল রয়েছে পায়রা বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত।
ভারতে মধ্যপ্রদেশ এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আরো পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ছয়টায় ভারতের দক্ষিন মধ্য প্রদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিলো। নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকুলীয় এলাকার নদনদীসহ বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় টানা মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দু’দফা জোয়ারের উচু পানিতে প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পায়রা সহ সব সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে মৎস্য বন্দর আলীপুর- মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীতে সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা সকল মাছধরা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে মাইকিং করেছেন নিজামপুর কোষ্টগার্ড সদস্যরা।
অন্যদিকে গত দুই তিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে আগত পর্যটকদের বেশিরভাগই কুয়াকাটা ত্যাগ করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গিয়েছে। আবাসিক ও খাবার হোটেল গুলোতেও পর্যটকদের তেমন একটা ভীড় দেখা যায়নি। তবে এখনও অনেক পর্যটককে সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরা দেখা গেছে। এসব পর্যটকদের সমুদ্রে না নামতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।#