অনলাইন ডেস্ক:
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সম্পদ জব্দ করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এ ছাড়া এই সংক্রান্ত বিষয়ে যেন মামলাগুলোর বিচার মিত্র দেশগুলো করতে পারে সেজন্য তাদের তথ্যও দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু একটু আগেই আমি অন্য একটি দেশের প্রসঙ্গে ভিন্ন একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, আমরা কখনোই কোনো ঘটনা ঘটার আগে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করি না। সাধারণভাবে বললে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিষেধাজ্ঞা একটি হাতিয়ার হতে পারে। তবে আমাদের কাছে অন্য উপায়ও আছে। যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং মিত্র দেশগুলোতে তথ্য সরবরাহ করা, যাতে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা করতে পারে। আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দেশের দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করি। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমরা অনেকবার স্পষ্ট করে বলেছি, এই পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে আমি অনেকবার বলেছি, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা প্রকাশ্যে স্পষ্ট করে এটা বলেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও এটি পরিষ্কার করেছি। আমাদের এই নীতি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে হস্তান্তরের প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি ম্যাথিউ। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার স্বঘোষিত খুনিদের মধ্যে অন্তত একজন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। আপনি সব খুনিদের বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর সমর্থন করেন কি? মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা প্রত্যর্পণের বিষয়ে মন্তব্য করি না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মস্বীকৃত খুনিদের মধ্যে পাঁচজন এখনো পলাতক। সরকারের কাছে তথ্য হলো, এক খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাকে ফেরাতে অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছেন। আপনি কি তাদের এই সফর সম্পর্কে আরও বেশি কিছু বলতে পারেন? তারা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী আলোচনা করেছেন?
এই প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, এই সফরের বৈঠকগুলো নিয়ে তারা যে বিবৃতি দিয়েছেন, এর বাইরে বলার মতো কোনো বিষয় তার কাছে নেই।