নিজস্ব প্রতিবেদক:- ঝিকরগাছার পল্লীতে ৮ ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায়। ধর্ষক ইমরান হোসেন ঝিকরগাছা উপজেলার জগনন্দকাটি গ্রামের সায়েম হোসেনের ভায়রাপো ও শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
জানাগেছে, শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন পারিবারিক কলহের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঝিকরগাছা উপজেলার জগনন্দকাটি গ্রামে তার খালু সায়েমের বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
দীর্ঘদিন জগনন্দকাটি গ্রামে বসবাসের ফলে পার্শ্ববর্তী কুলবাড়িয়া এলাকার এক ৮ ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথে সে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে লম্পট ইমরান ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে কুলবাড়িয়া এলাবাসী লম্পট ইমরান হোসেন কে ওই রাতেই আটকে দেয়। এসময় লম্পট ইমরান হোসেনের নানা শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের হোসেন সরদার ও তার খালু ঝিকরগাছা উপজেলার জগনন্দকাটি গ্রামের সায়েম হোসেন স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বরদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারেই ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে টিমটিমের পরিবার দরিদ্র ও অসহায় হওয়ায় ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। এবিষয়ে ইমরান হোসেনের নানা শার্শা উপজেলার টেংরা গ্রামের হোসেন সরদার বলেন, মেয়েটার ভবিষ্যতের জন্য আমরা টাকা দিয়েছি। মেয়েটার পরিবার টাকা না পেলে আমরা কি করবো।
এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্তর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#