পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ পাবনা সুজানগর উপজেলার রতনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। গত পহেলা অক্টোবর বেড়া উপজেলার ভাটিকয়া গ্রামে প্রধান শিক্ষকের বাড়ির পাশে আব্দুস সালাম এবং প্রতিবেশী বাদশার জমি সংক্রান্ত জেরে ঝগড়াঝাঁটি ও কথা কাটাকাটি হয়।
এর একপর্যায়ে সালাম ও তার বাড়ির লোকজন বাদশার পক্ষ নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ও আত্মীয়- স্বজনকে গালিগালাজ করে বলে জানা যায়। প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের দাবি ওইদিন ঘটনার আগেই আমি সকাল আটটার দিকে স্কুলে পরীক্ষা থাকার সুবাদে একটু আগেই আমার কর্মস্থল রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যাই। ঝগড়া এবং মারামারি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না।
পরে স্কুল ছুটি শেষে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানতে পারি। আমার ধারণা পূর্বের একটি বিষয় নিয়ে সালামের সাথে আমার রেষারেষী ছিল। হয়তো আক্রোশ মুলক ভাবে সে ওই কারণেই অন্যের মামলায় আমাকে নামীয় আসামি করে ফাসানোর চেষ্টা করছে।
রেষারেষির কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাদশার ছেলের বিরুদ্ধে ভুয়া আরেক সেনাবাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে হয়রানি করে।
উক্ত বিষয়ে আমি এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সেই ভুয়া সেনা সদস্যকে পুলিশে ধরিয়ে দেই। সেই থেকে সালামের সাথে আমার বনিবনা হয়না। সে কারণেই সালাম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট হয়রানি মূলক মামলা দিয়েছে। আমি একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
এই মিথ্যা মামলায় আমার মান ক্ষুন্ন করায় আমি প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই মিথ্যা মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে মুঠোফোন বাদী সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার সাথে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের সরাসরি জড়িত না থাকলেও তার হুকুমেই পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। তাই তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বলেন, ঘটনার দিন স্কুলে এসএসসি টেষ্ট পরীক্ষা থাকার কারনে প্রধান শিক্ষক সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্কুলে চলে আসেন। এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
পরিকল্পিত ভাবে অন্যের মামলায় প্রধান শিক্ষককে জড়ানো হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং স্পর্শকাতর। আমাদের দাবি সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক যদি এর সাথে কোনভাবেই জড়িত না থাকে তাহলে প্রশাসন এই মামলা থেকে প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দেবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।