মোঃ সাইফুল ইসলাম শিপুঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা পুলিশের উপর উদ্দেশ্য মূলক হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামী কর্তৃক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সুমনসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার সিরাজদিখান থানার ওসিসহ থানায় কর্মরত ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মুন্সিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন পুলিশ পেটানো মামলার প্রধান আসামী আব্দুল বারেক। সে কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৃত হাসেম বেপারীর ছেলে।
দায়েরকৃত পিটিশন মামলা নং- ০১। মামলার অন্যন্য আসামীরা হলেন, সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোকতার হোসেন, এসআই রতন বৈরাগী, এসআই মোঃ লোকমান হোসেন, এসআই মোঃ মনোয়ার হোসেন, এসআই মোঃ সালাউদ্দিন, এএসআই মাঈনুল, কনস্টেবল মোঃ আল আমীন হাওলাদার ও কনস্টেবল মোঃ মিজানুর রহমান। জানা যায়,মামলাটি দায়েরের পর মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সেই সাথে ভুক্তভোগীর জখমের বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থক আবদুল বারেক গ্রুপ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ারের সমর্থক কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষের জন্য মারমুখি অবস্থান নিলে সিরাজদিখান থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আব্দুল বারেকসহ তার লোকজনের হামলায় ওসি মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম সহ ৯ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওই ঘটনায় সিরাজদিখান থানার এসআই লোকমান বাদী হয়ে আবদুল বারেককে প্রধান আসামীসহ ৩৪ জনকে এজাহার নামীয় ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন। যার নং- ১৮। এ ব্যপারে বাদীপক্ষের কৌশলী জামাল হোসাইন জানান, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা করা হয়।
পরের দিন ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে আবদুল বারেকসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে গ্রেপ্তার কৃত ব্যক্তিদের থানায় এনে পুলিশ নির্যাতন করে। পরদিন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কৌশলী জামাল হোসাইন বলেন, জেল হাজতে থেকে আবদুল বারেক বাদী হয়ে রবিবার সিরাজদিখান থানার ওসি ও আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। অফিসিয়ালি আমার কাছে মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।