স্টাফ রিপোর্টার: পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের পক্ষ নিয়ে মিথ্যা মামলা ও পুলিশের অব্যাহত হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ মোনায়েল আহমেদ ইমরানের মা ইয়াসমিন আক্তার। একই আন্দোলনে আহত হন তার অপর ছেলে তোফায়েল আহমেদ। সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে এক আবেদনে ইয়াসমিন আক্তার উল্লেখ করেন, তিনি গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানাধীন মানপুরায় স্বামী ছোয়াব মিয়া ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন।
কিন্তু তার পৈত্রিক সম্পতি দখল এবং শহীদ পরিবারকে হয়রানি করার জন্য স্থানীয় ফ্যাসিস্টদের দোসর স্থানীয় মোজাক্কির গং একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আর লাখাই থানা পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না করেই মামলা গ্রহণ এবং প্রতিনিয়ত পুলিশ পাঠিয়ে তাকে (ইয়াসমিন) তারর ভাই, ভাগিনা ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের হয়রানি করছে। লাখাই থানায় এরকম একটি মামলা (নং-১, তারিখ-৪ নভেম্বর ২০২৪ইং)। এ মামলায় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), তদন্ত কর্মকর্তা মোজাক্কির গংদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে হয়রানি করছে। একদিকে মোজাক্কিরসহ সন্ত্রাসী গ্রুপের হুমকি ও থানা পুলিশের হয়রানির কারনে পরিবারের সবাইকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
ইয়াসমিন বলেন, তিনি ২০২৪ এর গণ-আন্দোলনে ১৭ই জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ হন তার পুত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান। দুই পুত্রের মধ্যে অপর পুত্র তোফায়েলও আহত হন এই আন্দোলনে। এছাড়া আহত হন নিজের বড় বোনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম। আন্দোলনে সামনের কাতারে নেতৃত্বদানকারীদের একজন ছিলেন দৈনিক ইনকিলাব এর ডেপুটি ম্যানেজার এম মামুনুর রশীদ। যিনি তার আপন ভাই। ভূক্তভোগী ইয়াসমিন আক্ষেপ করে বলেন, শহীদের মা হওয়ার কারনেই কি তার সাথে লাখাই থানা পুলিশের এহেন আচরন। জুলাই বিপ্লবের শহিদের মা জানানোর পরও পুলিশ কেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের পক্ষ হয়ে আমার নিরপরাধ সন্তানও ভাইদের হয়রানী করছে তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি নিজের ও নিরীহ পরিবারের জান-মাল ও সম্পত্তি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।