• বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে ১১ মামলা, আসামি ৫ শতাধিক

সংবাদদাতা / ৩২৯ পাঠক ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রবেশ মুখে গতকাল শনিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ থানায় মামলা করেছে পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা। এসব মামলার মধ্যে নয়টির বাদী পুলিশ। বাকি দুটি মামলা করেছ ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। রবিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির ১৪৯ নেতাকর্মীকে।

মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানায় একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি, উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত এসব পৃথক মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪৬৯ আসামির। অজ্ঞাত আসামি ৭০ থেকে ৮০ জন।আজ রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল ডিএমপি অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি একটি বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নিসংযোগ, বাস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এপিসি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করা হয়।

এসব অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট সাতটি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪৯ জন। ডিবি পুলিশ, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্যান্য বিভাগের টিম এসব আসামি গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।’

দায়েরকৃত এসব মামলার বাইরেও আরো কয়েকটি থানায় (দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানা) বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা তা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।’

গতকাল বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে সশস্ত্র অবস্থায় ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা, নাকি তাদের পুলিশকে সহায়তা জন্য রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘গতকাল আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল, কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করেছেন। এখানে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিস্তারিত...