ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ইউক্রেন নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পরিচয় হয় বাংলাদেশের নাগরিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বৃষ্টি আক্তারের। পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। টানা দুই বছরের সম্পর্ক তাদের। এতে বাধা হয়নি ৬ হাজার কিলোমিটারের পথ, বাধা হয়নি ধর্মও।
প্রেমের শেষ পরিণয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। গত ১৯ ডিসেম্বর কর্মস্থল পোল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসেন অ্যান্দ্রো প্রকিপ। সেদিনই বিয়ে করেন বৃষ্টিকে। ইউক্রেনের নাগরিক অ্যান্দ্রো প্রকিপ নাম বদলে রেখেছেন মোহাম্মদ। বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের বৃষ্টিকে। স্বামীর সঙ্গে নাম মিলিয়ে বৃষ্টির নাম এখন বৃষ্টি প্রকিপ।
গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালাছড়া গ্রামে দেখা হয় বৃষ্টি ও প্রকিপের সঙ্গে। এ সময় কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা জানান, বিয়ে করতে পেরে তারা খুশি। সবার দোয়া চান তারা।
জানা যায়, কালাছড়া গ্রামের কামাল মিয়া মেয়ে বৃষ্টি। বাবা কামাল মিয়া মারা গেছে তিন বছর আগে। ৫ বোন এক ভাই মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। এসএসসি পাস করেছেন। টুকটাক ইংরেজি জানেন। বছর দুয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান প্রকিপকে। সেই থেকে শুরু হয় প্রেমের।
বৃষ্টি জানান, প্রকিপ শুরু থেকেই বলছিলেন তাকে বিয়ে করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তার কথা রেখেছেন। প্রকিপ নিজে থেকে তাকে বিয়ে করার ও ধর্ম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন।প্রকিপ জানান, তার বিয়ে করা দরকার এবং তিনি মুসলিম হবেন, এই দুটি বিষয় তাকে আকৃষ্ট করেছে। বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পেরে তিনি খুব খুশি। বাংলাদেশে তার ভালো লাগছে। পাশপাশি জামাই হিসাবে অতিথিয়তা তাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি জানান, সকল প্রক্রিয়া শেষে মাসখানেকের মধ্যে বৃষ্টিকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরবেন প্রকিপ। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরহাদ আলী বলেন, এই দম্পতিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেকেই ছুটে আসছেন। অনেকে শুভেচ্ছাও জানাচ্ছেন।