• বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কুষ্টিয়ার খোকসা নামেই পৌরসভা, মিলছে না নাগরিক সেবা বেনাপোলে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক  ত্রিশালে তথাকথিত রংধনু টিভির মালিক আনোয়ার সাদাত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুই মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাধবপুরে বড় ভাইয়ের বউ নিয়ে ছোট ভাই নিরুদ্দেশ যারা গায়েবি মামলা করেছিলেন এবার তাদের চিহ্নিত করতে রিট ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী আরও ৩ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আনিসুল-সাদেক-শাজাহান অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত সেনা কর্মকর্তা সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ দিনের রিমান্ডে পরিস্থিতি যাই হোক, ড. ইউনূসের পাশে থাকবেন সেনাপ্রধান

ফেঁসে যাচ্ছেন এডিসি হারুন-সানজিদাসহ ৫ জন

Reporter Name / ১৭৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব  প্রতিবেদক

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মারধরের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, প্রথমে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আমরা সময় নিয়েছিলাম। দায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছি। ঘটনার তদন্তে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া সব কিছু প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যার যতটুকু দায়-দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্টতা ছিল তা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে

কার কার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবো। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওই দিন রাতে এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান। তাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান তিনি। যেখানে তাদের পেটানো হয়। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সানজিদার ভাষ্যমতে তার বুকে ব্যথা হওয়ায় তিনি তার ঊর্ধ্বতন স্যার এডিসি হারুনকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় স্যার রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার সন্ধ্যায় সময় মতো চিকিৎসক না পেয়ে তিনি হারুন স্যারকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুন স্যারকে মারধর করেন। ওই সময় স্বামীর সঙ্গে আসা আরও দুইজন হামলায় অংশ নেয় এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকে। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন ও ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন। এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার উপর নির্যাতন চালানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে ডিএমপির সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম। এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরও পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। পরে তাদের পাঁচ দিন সময় দেয়া হয়। সোমবার পাঁচ দিন সময় শেষ হয়েছে।

ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, বারডেম হাসপাতালে স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন হবে। আজ (মঙ্গলবার) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category