নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুবৃত্তরা। (১ নভেম্বার) শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষন খোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক চুন্নু, তার চাচাতো ভাই মমিন উল্লাহ সাউদ জুম্মানকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় কামরুল ইসলাম সাউদ বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ও মাদক বিরোধী সভা করায় সাজু , রাজু ও বাবুর হুকুমে ফারুক হোসেন, দাদন, হৃদয়,জুবায়ের, শিবলু, বিল্লাল, মাদক বিক্রেতা জসু ও বাপ্পী ও সৌরভ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত বে-আইনি জনতাবদ্ধ হয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে অতর্কিত হামলা-ভাঙচুর ও তান্ডব চালায়।
এসময় অফিসে থাকা জুম্মান হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে।
জুম্মানের আত্মচিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় উল্লেখিত আসামী’রা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার ঘাড়ে ৪টি সেলাই লাগে। হামলার সময় অফিসে থাকা আসবাবপত্র ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি সহ বিএনপি সিনিয়র নেতাদের ছবি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় অন্তত লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী জানায়, উল্লেখিত আসামীরা পূর্ব শত্রুতা ও মাদক বিরোধী সভা করার জেরে নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে জোর পূর্বক প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা চালায়। আমার চাচাতো ভাই জুম্মান’কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ বিডিসি ক্রাইম বার্তাকে জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অপরাধী যারাই হোক তদন্ত সাপেক্ষে তাদের’কে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে মামলার আসামী রাজু জানান, এ ঘটনায় তো আমরা জড়িত না। তবে শুনেছি ফারুকের সাথে নাকি গন্ডগোল হয়েছে।