নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বাকেরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে চারজন তরমুজ চাষী’কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহত’রা হলেন বাহাদুর হাওলাদার (৩৬), বাবু হাওলাদার (৩০), কবির হাওলাদার (৩৫) ও পনির হাওলাদার (৩০)। আহতদের মধ্যে বাহাদুর হাওলাদার ও বাবু’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ হামলায় ব্যবহারিত দেশীয় অস্ত্রসহ ভরপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান লিটন সহ ৩জন’কে আটক করেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের কামারখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতের ভাই মিলন হাওলাদার বাদি হয়ে ১৪-১৫ জন’কে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপর দিকে ঘটনার পরপর বেলা ১ টায় তরমুজ চাষি’রা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহির হাওলাদার। থানায় জমা দেয়া অভিযোগ পত্র ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, উপজেলার ভারপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামের মৃত সোহরাব হাওলাদারের পুত্র মোঃ মিলন হাওলাদারের দুই ভাই বাহাদুর হাওলাদার ও রিয়াজ হাওলাদার বরিশাল শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের আওতাধীন চরের ৬০-৬৫ একর জমি লিজ নিয়ে গলাচিপা উপজেলার ২৫-৩০ জন কৃষকের সহযোগিতায় তরমুজ চাষ করেছেন।
তরমুজ চাষ করা শুরু থেকেই একই গ্রামের শাজাহান গাজীর পুত্র রুদ্র গাজী ও মৃত গাজী আলাউদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান লিটন গাজী বিভিন্ন সময় তাদের নিকট নগদ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাষকৃত জমিতে ঠিকঠাক তরমুজ চাষ করার উদ্দেশ্যে কৃষকরা বিবাদীদের। ‘কে বিভিন্ন সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। তা সত্বেও তারা ১ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে তরমুজ খেতে প্রবেশ করে আধা পাকা তরমুজ নষ্ট করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
সোমবার সকাল ১০ টায় তরমুজ চাষী মোঃ মিলন হাওলাদারের ভাই বাহাদুর হাওলাদার নিজ বাড়ি দুধল মৌ কাউন্টারে যাওয়ার পথে কামারখালী বাজারের মুদি ও স্টেশনারী দোকানের সামনে পৌঁছালে রুদ্র গাজী, মিজানুর রহমান লিটন গাজী, গাজী তোফায়েল হোসেন জামাল, গাজী সাদ, রঞ্জু গাজী, মঞ্জু গাজী, মোঃ নেওয়াজ শরীফ, শাহজাহান গাজী, শুভ ও মোঃ জাকির সহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পরিকল্পিত ভাবে দা, ছেনা, লোহার রড ও লাঠি সোটা নিয়ে তার পথরোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে পেটে ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে বাবু হাওলাদার ও পনির হাওলাদার’কেও কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারী’রা এসময় নগদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে চাষী মহির হাওলাদার ও কামাল জানান, প্রতি বছর তারা তরমুজ চাষ করতে এসে এলাকায় চাঁদাবাজি ও হয়রানীর শিকার হন।
চাঁদাবাজরা তাদের হুমকি দিয়েছে অতিশীঘ্র চাঁদা দাবির ১ লক্ষ টাকা না দিলে চাঁদাবাজরা তাদেরসহ তরমুজ চাষী বাহাদুর হাওলাদার’কে খুন করিবে, তরমুজ নিয়া যাইবে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকাই’বে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তারা ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।