ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ নারী কেলেংকারী, নানা অনিয়ম,অবৈধ ব্যবসায়ী, বিভিন্ন জনের অর্থ আত্মসাতকারী, নিন্ম- মাণের পণ্য কর্মচারীর বাড়িতে রেখে বিদেশী দামী পণ্যের লেবেল লাগিয়ে দোকানে বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত ঈশ্বরদী শিল্প বণিক সমিতি। বণিক সমিতির কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হবার নয়। ত্রি-বার্ষিক কমিটির মেয়াদ শেষ হতে এখনও অন্তত ৫ মাস বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে সাধারণ সভা ডেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই নতুন কমিটি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আবারও চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সমিতির অর্থ চুরি, আত্মসাত, ভূয়া সদস্য বানানোর দায়ের দুই একজন দূর্নীতিবাজ নেতা এবার কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও এবারও ভোটের মাধ্যমে বণিক সমিতির পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে না পেলে অসন্তোষ্টও প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণাকে অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিক দাবী করে নির্বাহী কমিটির সদস্য সজল মালিথা পদত্যাগ করেছেন।
গত ৬ অক্টোবর/২৩ সন্ধ্যায় পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ সভা ডেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করান নানা বিষয়ে বিতর্কিত ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু। বণিক সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সজল মালিথা জানান, শুক্রবার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোঃ হায়দার আলীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করে গুটি কয়েক সদস্যদের উপস্থিতিতে কন্ঠ ভোটের বিনিময়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।
গঠিত এই কমিটিতে ঈশ্বরদী বাজারের পণ্য সমাহারের স্বত্তাধিকারী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে সভাপতি ও মোঃ তানভীর মালিথা কে সহ- সভাপতি মনোনিত করে ঘোষনা দেওয়া হয়। অথচ ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তিন বছরের জন্য ঘোষিত কমিটির মেয়াদ এখনও অন্তত ৫ মাস রয়েছে। অবৈধ ভাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কমিটি গঠন ও সমিতির টাকা চুরি ও আত্মসাত করার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে পদ ত্যাগ করেছেন।
এসব ব্যাপারে জানতে চেয়ে ঈশ্বরদী শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু সঙ্গে যোগাযোগ করতে শনিবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী শিল্প বণিক সমিতির কার্যালয়ে গিয়েও শফিকুল ইসলাম বাচ্চুর দেখা মেলেনি। পরে তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি। কয়েক ঘন্টা পরে কল ব্যাক করে ব্যস্ত আসেন, পরে কথা বলা হবে জানিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।