টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভ্রামনভিটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ সরকারের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থী’কে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগী নিজেই এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা ও শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষক সুমন মোহাম্মদ আহসানউল্লাহর নিকট ঘটনার বিস্তারিত বলেন এবং মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী সেরাজাবাদ রানা শফিউল্লাহ কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ এর সাথে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে স্বাক্ষী বিহীন নাটকীয় ভাবে শিক্ষক নিজেই কাজি সেজে নিজেই বিয়ে করে। এরপর নারায়ণগঞ্জে তার ভাইয়ের বাড়িতে একাধিকবার নিয়ে গিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ায়।
পরে বিয়ে রেজিস্ট্রির কথা বললে গত পহেলা ফেব্রুয়ারিতে ভুক্তভোগীর জন্মদিনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে বলে জানায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস এলে নানান টাল বাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিয়ে করবেনা বলে জানায়। পরে উপায় না পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট এর সমাধান চায় ভুক্তভোগী কিন্তু তিনিও কোনো সমাধান দিতে পারেননি। ভুক্তভোগীর অভিযোগ শাহনেওয়াজ বিয়ের কথা বলে প্রতারণা করেছে। একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এই প্রতারণার বিচার চায় ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানায়, ১৫ দিন আগে ভুক্তভোগী ও তার মা বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ ঘটনাটি মিথ্যা বলে জানায়। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে বলেও জানায় তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শরীফ মোহাম্মদ মোর্তজা আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।।