অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনার আগে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।স্থানীয় সময় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ৮ ঘণ্টার জন্য কারফিউ ঘোষণা করে দেশটির পুলিশ।
শ্রীলঙ্কার পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণ- মাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভোট গণনায় সহিংসতা এড়াতে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (রোববার) নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
এদিকে, দেশটির নির্বাচন কমিশন এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে দেশটির ইতিহাসে ‘সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করে। এবার ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০১৯ সালে দেশটির সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২২ সালে ডলার সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধসে পড়েছিল।
এরপর দেশটিতে গণ-অভ্যুত্থান দেখা দেয়। পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে তার বাকি মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্টের পদে বসেছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য শনিবার লঙ্কানরা ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তবে রনিলকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন মূলত দুজন। তার মধ্যে একজন অনুরা কুমারা দিশানায়ে’কে। তিনি বামপন্থী দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনার নেতা। ২০২২ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তাদের অবদান ছিল। অপর চ্যালেঞ্জার হলেন সজিথ প্রেমাদাসা। সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে বর্তমানে প্রধান বিরোধী দলের নেতা।
২০১৯ সালেও তিনি লড়েছিলেন ভোটে। তবে গোতাবায়ার কাছে হারতে হয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাহিন্দা রাজাপাকসের বড় ছেলে নামাল রাজাপাকসে। তিনি গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাতিজা। তবে ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাজাপাকসে পরিবারের প্রতি মানুষের সমর্থন নেই।