# জাল দলিল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা
# উপায় না পেয়ে অসাধূ পুলিশের সরনাপন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কমল কুমার রায় ওরফে গৌতম। এক সময় নাপিতের কাজ করতেন। ঢাকায় এসে মগবাজারে একটি নরসুন্দরের দোকানে চাকরি হয়। সেখান থেকে পরিচয় হয় বেবিট্যাক্সি (এখন অটোরিকশা বা সিএনজি) চালকদের সঙ্গে । কিছ টাকা হলে কিস্তিতে একটি বেবিট্যাক্সি কিনে চালানো শুরু করেন। এরপর পরিচয় হয় বেবিট্যাক্সি চোরচক্রের সঙ্গে। শুরু হয় চোরাই কারাবার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। চক্রের সহায়তায় একটি একটি করে বাগিযে নেন বেবিট্র্যাক্সি। বর্তমানে তার ৫০ টির বেশি সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে।
আর এসবই হয়েছে চোরাই সিন্ডিকেটে যুক্ত হওয়ার কারণে। এখন তিনি বিলাশবহুল জীবন যাপন করেন। রেখেছেন ম্যানেজার, দালাল আর চোর সিন্ডিকেটের লোকজন। জানা গেছে, হাসিনা সরকবার অমলের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগের বড় নেতা হওয়ারও স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্ত বিধি বাম। হাসিনা পালানোর পর তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে টাকার গরমতো আছে। এখন বিএনপি নেতাদের পাশে ধরনা দিচ্ছেন নিজেকে বাঁচানোর জন। সম্প্রতি এই সিন্ডিকেটে আবোর সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সূত্র বলছে, গতবছর বেশকয়েকটি চোরাই সিএনজি জাল দলিল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিলেন কমল কুমার। কিন্তু বিআরটিএর চৌকষ কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে যান। মুচলেকা দিয়ে কোনমতে বেঁচে যান তিনি। সম্প্রতি একটি চোরাই সিএনজি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিআরটিএতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রকৃত মালিকের স্বাক্ষর না পাওয়ায় করতে পারছেননা। এ কারণে ম্যানেজার মাসুম ও দালাল সোহেলকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে আমজাদ নামের েএক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। না পেয়ে নানাবাবে হুমকি দিতে থাকে আমজাদকে। এছাড়া কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারও সরনাপন্ন হয়েছেন এই চোরচক্রের প্রধান কমল কুমার।
ভুকভোগি আমজাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি কমল কুমার নামের কাউকে চেনেননা। কখনো দেখেননি। অথচ তার একটি অটোরিকশা অনেক আগে অন্য একজনের কাছে বিক্রি করেছিলেন। এখন কোথায় আছে সেই রিকশাটি তাও তিনি জানেনা। কিন্তু হাতিরঝিল থানায় আমজাদের বিরুদ্ধে কমল কুমার অভিযোগ করেছেন বলে থানার এক কর্কর্তা জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনার সত্যতা পায়নি পুলিশ। থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে বর্তমানে ডিবি পুলিশের এক কর্কর্তার দারস্ত হয়েছেন কমল কুমার। নিজেকে বাঁচাতেই এসব কর্মকান্ড করছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে আর কমল কুমারের মেয়েেএকই স্কলে পড়াশোনা করতো। সেই সুবাধে তাদের সঙ্গে পরিচয়। যে সিএনজিটি নিজের বলে দাবি করছে কমল সেই সিএনজির প্রকুত মালিক লাকি বেগম নামের এক নারী। তিনি তার সিএনজি হারিয়ে যাওয়ার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছিলন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিএনজিটি উদ্ধার হয়। এদিকে কমল কুমার পুলিশের কাছে মনগড়া অভিযোগে জানান, আমজাদ তার কাছে সিএনজি বিক্রি করে দুইবার টাকা নিযেছে। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও হাস্যকর। অন্যদিকে ডিবির ওই কর্কর্তা আমাজদাকে ডিবি অফিসে যেতে নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। না গেলে তুলে আনারও হুমকি দেয়া হয়। এতে চরম নিরাত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী আমাজাদ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দয়িত্ব নেয়ার পর পডুলিশের মনোবাল বাড়াতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। সংস্কার করা হচ্ছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটেও। কিন্তু শেখ হাসিনা সকরকার আমলের অনেক কর্মকর্তা এখনো বহাল রয়েছে। তিাদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় মগবাজরের সিএনজি চোর চজক্রের হোতা কমলকুমারসহ তার সহযেডাগিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে বলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।