খাদিজা আক্তার, স্টাফ রিপোর্টারঃ- গাজীপুরের টঙ্গীতে মাদক ও অস্ত্রসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পারুলী বেগম (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৯ শত ৩৫ পুরিয়া হেরোইন ও একটি ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড শর্ট গানের কার্তুজ জব্দ করা হয়।
কুখ্যাত মাদক কারবারি পারুলী বেগমকে ১৬ই আগস্ট রাতে মাছিমপুর এনা কাউন্টারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পারুলী বেগম এরশাদ নগর এলাকার মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে ও মানিক মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ জানায়, পারুলী একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে এরশাদ নগরসহ টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। তার স্বামী মানিক, বড় বোন পারভিনসহ বিভিন্ন আত্নীয়স্বজন তার মাদক ব্যবসা দেখাশোনা করতো।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৯ শত ৩৫ পুরিয়া হেরোইন ও একটি ওয়ান শুটার গান এবং দুই রাউন্ড শর্ট গানের কার্তুজ জব্ধ করা হয়। টঙ্গী পুর্ব থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, পারুল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অভাব- অনটনে শৈশব ও কৈশোর পার করেছেন পারুল। একপর্যায়ে মাদকের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন মাদকের কারবারে। বস্তির এই মেয়ে ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন ভয়ংকর মাদক কারবারি। এরশাদ নগর বস্তিতে মাদক কারবারি ও মাদক সেবীদের কাছে পারুলী বড় আপা হিসেবে পরিচিত। এলাকায় মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবেও পরিচিতি আছে তার। তার মাদক কারবারের কৌশল একটু ভিন্ন। আত্মীয়- স্বজনকে চা- বিস্কুটের দোকান করে দিয়েছেন।
দোকানগুলোয় তাঁরা ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালান। কেউ কেউ এলাকায় ঘুরে ইয়াবা বিক্রি করেন। নেপথ্যে থেকে পারুলী সব ঝড়ঝাপটা সামাল দেন তার বড় বোন পারভীনের মেয়ের শ্বশুর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ভালো সাজার জন্য বছর তিনেক আগে স্বেচ্ছায় মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবন- যাপন করার জন্য লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলেন পুলিশের কাছে।
এরশাদ নগরসহ টঙ্গী বিভিন্ন এলাাকায় নামে- বেনামে জমি ও বাড়ি রয়েছে তার। মাদক ও অস্ত্রসহ পারুলী বেগমকে গ্রেফতার করা হলেও তার সহযোগীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের গ্রেফতার করলে মাদকের কারবার কিছুটা হলেও কমে যেতো।#